ফতুল্লার ইসদাইরে চুরির অপবাদে প্রকাশ্যে এক যুবককে প্রায় নগ্ন করে লাঠি দিয়ে বেধম পিটিয়েছেন ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছির আলী। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করেন তিনি।
শুক্রবার (১১ আগষ্ট) রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঘটনাটি কিছুদিন পূর্বের বলে দাবী করেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা।
এসময় ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় এক যুবককে নির্মমভাবে পেটাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা মিছির আলী। এসময় আশেপাশের লোকন এগিয়ে এসে পেটানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে যুবকের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি। এসময় তাকে নগ্ন করতে জামা খুলে লুঙ্গি টানাটানি করেন তিনি। কোনভাবে লুঙ্গি টেনে ধরে ইজ্জত রক্ষা হয় যুবকের। তবে এর মাঝেই চলতে থাকে লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত।
আওয়ামী লীগ সভাপতির এমন কান্ডে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবী সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি হওয়ায় গায়ের জোরে এ কাজ করেছেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অহেতুক মিছির আলী হঠাৎ করে ইসদাইর বাজারের সাথে রেল লাইনের পাশে এসে এক যুবককে তার মোবাইল ফোন পকেট থেকে টান দেয়ার কথা বলেই মারধর শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় একজন তাকে থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন উপস্থিত অনেকে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি, সে ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাই বলে কি আইনের ঊর্ধ্বে? সে যুবক যদি তার ফোন চুরি করার চেষ্টা করে থাকে তবে আইন-সৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দিতে পারতো। তিনি তা না করে প্রকাশ্যে কিভাবে একজনকে মারধর করতে পারেন। এ ব্যাপারে হাজী মিছির আলী জানান, ঘটনাটি ১২-১৫ দিন পূর্বের। তিনি ইসদাইর বাজারস্থ মসজিদে জহুর নামাজ শেষ করে বের হয়ে ভ্যানগাড়ীতে করে বিক্রি করা পেয়ারা কিনছিলেন। এ সময় তার পাঞ্জাবীর পকেট থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে একটি লোক পালিয়ে যাচ্ছিলো। সে বিষয়টি টের পেয়ে ছেলেকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে।পরে চোরটিকে সামান্য মারধর করে ছেরে দেওয়া হয়। কেউ হয়তো তখন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ভিডিওটি করে রেখেছিলো পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানায়, এ বিষয়ে তাকে কেউ অবগত করেনি। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।