বিএনপি-জামায়াত জোট একসময় দেশে যে অপকর্ম করেছে, দুর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব, গডফাদারদের রাজত্ব কায়েম করেছে, বাংলাদেশের জনগণ তা ভুলে যায়নি উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন স্বাধীনতা আর তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট নানা কথা বলবে। আমরা বলবো উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন। কাজ দেখে ভোট দেবেন। কারও কথায় বিচলিত হবেন না। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কি করেছে? ওরা খালি চাপাবাজি করে। চাপাবাজ থেকে সাবধান থাকবেন। কারও চেহারা দেখে ভুলে যাবেন না।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে ভোট দেবেন উনার উন্নয়ন দেখে। সবাই মিলে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াত জোটকে বিতারিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবো।”
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরুনা, মাঝিনা, নগরপাড়া, কামশাইর, পশ্চিমগাঁও, চনপাড়া, পূর্বগ্রাম, বড়ালু ও ইছাখালী এলাকায় আলাদাভাবে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চায়। আজ বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য দেশকে ধাপে ধাপে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যা বিশ্বের মানুষের কাছে এক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত, যার সব কিছু সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনে। তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর যে চেষ্টা করছে আমরা কখনই সেটা করতে দিব না। বিএনপি’র সকল ষড়যন্ত্রকে দেশের মানুষ আর সমর্থন করেনা। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও শক্তিশালী করতে হবে।”
দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ব্যক্তিস্বার্থ ও ভেদাভেদ ভুলে ফের নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, “বর্তমান সরকার কথায় নয়, উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে; সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের কোন বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আওয়ামীলীগ কে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কায়েতপাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, বিদ্যুৎ, মসজিদ, মন্দির সহ সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, অন্য কোন সরকারের আমলে তা হয়নি। আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ব্যক্তিস্বার্থ ও ভেদাভেদ ভুলে ফের নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।”
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাহেদ আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক আব্দুল আজিজ ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মেহের, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আনছার আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য শিলা রানী পাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইমন হাসান খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুবমহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার, উপজেলা যুবমহিলালীগের সাধারন সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা শ্রী রবি রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল হোসাইন রাসেল, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর ফারুক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন অপু, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল খন্দকার জয়, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি জোসনা বেগম, সাধারন সম্পাদক আরজুদা বেগম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবমহিলা লীগের সভাপতি শারমীন আক্তার রিমা ও সাধারন সম্পাদক মরিয়ম আক্তার মলি সহ অনেকে।
এসব অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।