ফতুল্লায় বিবাহিত এক স্কুলশিক্ষিকাকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া সেই বিতর্কিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মান্নান এবার সহ-সভাপতি হলেন ফতুল্লাঞ্চলের এলিট শ্রেণীর ক্লাব হিসেবে পরিচিত ইউনাইটেড ক্লাবের। ক্লাবটির নব-নির্বাচিত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপু তার একক ক্ষমতাবলে সদস্যদের মতামতকে উপেক্ষা করে আব্দুল মান্নান কে সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে সকল শ্রেণীর পেশাজীবি মহল ও ক্লাবটির সদস্যদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে।
এর আগে স্কুল শিক্ষিকার কান্ডে সোমবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সভা শেষে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা আব্দুল মান্নান কে অব্যাহতি ও স্কুল শিক্ষিকা কে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইব্রাহিম জানান, ‘কয়েক দিন ধরে আমাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এক শিক্ষিকাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে ঘুরতে যান। বিষয়টি এলাকাবাসী খারাপ দৃষ্টিতে নিয়েছে এবং মিছিল সহকারে স্কুলে এসে আমাদের কাছে বিচার দাবি করেছে। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি, তারা উভয়েই বিবাহিত এবং স্বামী-স্ত্রী রেখে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা দীর্ঘসময় সভা করে দুজনের বিষয় পৃথক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। স্কুলের সুনাম রক্ষার্থে সভাপতির পদ থেকে মান্নানকে অব্যাহতি ও শিক্ষিকা দুলারিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে ইউনাইটেড ক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপু বলেন, আমার একক ক্ষমতাবলে কাউকে কমিটিতে স্থান দিতে পারিনা। ক্লাবের সদস্যদের সমর্থন নিয়েই কমিটি গঠন করা হয়। তাছাড়া এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে নারী ঘটিত ঘটনার যে অভিযোগ উঠেছে এটা ক্লাব সংশ্লিষ্ট না, তাদের পারিবারিক বিষয়। এটার সাথে ক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই। তবে ক্লাবের কার্যকরি পরিষদ যদি এম এ মান্নানের ব্যাপারে অনাস্থা দেয় সেটা ক্লাব কর্তৃপক্ষ দেখবে।