সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের ওমরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী পানি আক্তারের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে তারই অনুসারি কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা। এ সময় এলাকাবাসী ও পানি আক্তারের কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রিফাত, জুয়েল, সোহাগ, সজল ও বর্ষা নামে এক নারীর নাম জানা গেছে। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে এলাকাবাসী। এদের মধ্যে রিফাত খানপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার জন্য স্থানীয়রা দায়ী করেছেন, আইয়ুব নগর এলাকার মুজিবরের বখাটে ছেলে রাজিবকে। তার সাথে সম্পর্ক রয়েছে সম্প্রতি ঘোষিত নাসিক ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি আক্তার হোসেন ওরফে পানি আক্তারের।
রাজিবের সূত্র ধরেই বহিরাগত সন্ত্রাসী পানি আক্তারের কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দফায় দফায় এ হামলা চালায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ৯টা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, হামলার ঘটনায় একপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং অপরপক্ষ অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন। অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, গত শনিবার ওমরপুর এলাকার রাজিব নামে এক ব্যক্তির সাথে জুয়েল ও সোহাগ এর সাথে গাড়ি পারাপার নিয়ে বাকবন্ডিত হয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন জুয়েল ৬নং ওয়ার্ডে গেলে রাজিব পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জুয়েলকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে তার ভাই সোহেল সহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে পানি আক্তার বাহিনী।
এই মারধরকে কেন্দ্র করে সোমবার ওমরপুর এলাকায় রাজিবের দোকান ভাংচুর করে সোহেলসহ কয়েকজন। দোকান ভাংচুরের ঘটনায় দুপুরে দিকে রাজিব পানি আক্তারকে ফোন দেয়। পরে পানি আক্তারের নির্দেশে তারই অনুসারি কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে উপস্থিত লোকজনদের এলোপাথারী মারধর করে এবং ভাংচুর করা দোকানেই ফের ভাংচুর করে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক ব্যক্তি জানান, হঠাৎ রাম দা, ছেনি, ছুরি, রড, লোহার পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে ২০/২৫ জন অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এতে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হামলাকারীরা এই এলাকার নয় বলে তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি এলাকায় বহিরাগতরা এসে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর সাহস পেলো কোথা থেকে নিরেপক্ষ ভাবে এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হউক। নচেৎ এলাকার শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট হয়ে পড়বে।
তারা আরও জানান এবিষয়টি নিয়ে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সমাজপতি ও মাতবররা এগিয়ে আসলে এ ঘটনা ঘটতনা।