দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিরিন বেগম।
মঙ্গলবার ১৫ই আগস্ট সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের আয়োজনে জেলার বিভিন্ন স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
একই সাথে এ দিনে চাষাড়াস্থ কমার্স কলেজও এ দিনটিকে যথাযথভাবে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়েও জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করেন ড. শিরিন বেগম।
বঙ্গবন্ধু প্রকৃতিতে পুষ্পার্পন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা ও দোয়া’র মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করেন।
প্রফেসর ড. শিরিন বেগম বলেন, ‘আজ শোকাহত ১৫ই আগষ্ট এই দিনে আমরা সকলেই মর্মাহত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন নাসিম ওসমান ভাইয়ের বিয়ে ছিল, আমরা অনেকেই ঢাকায় গিয়ে ছিলাম। একটি বিশ্ববিদ্যালয় এর চীফ গেস্ট ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা ফেরার পথে দেখি সাজোয়া যান বের হয়েছে। রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটায় বাসায় ফিরে রেডিওতে শুনি একদল বিপথগামী সেনাবাহিনী জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। সেদিন নাসিম ওসমানের ভৌবাত ছিল। পাকিস্তানিরা তাকে মারলো না বাঙালিরা তাকে মারলো। বিদেশি অনেক নেতারা বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন সাবধান হয়ে থাকো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সততায় ভালোবাসায় সেই সমস্ত কথা আমলে নেননি। তাতে তার নিজের বিশ্বস্ত লোকজন হত্যা করেছে এর মধ্যে মেজর জিয়াও জড়িত ছিল।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ সালমা বেগম, নিউলি আক্তার, অমিত মজুমদার, ইউসুফ, রুমানা শারমিন পলিন, রেবেকা সুলতানা, মৌসুমী সরকার, হোসনেয়ারা পান্না, সোহাগ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোঃ আল ফয়সাল, তাহসিন জাহান লিজা, কনিকা রানী দাস, ফাতেমা আক্তার সাথী, কৃষ্ণা খন্দকার, খাইরুম নাহার পিংকি, আন্ঞ্জুমা আক্তার হিমি, রায়হান ইসলাম, আতিক হাসান পিয়াস, পারভীন বেগম, সাথী আক্তার সহ মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা।