সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের বড়নগর এলাকায় মেয়ের জামাই জোবায়েদ রানা রাহুল এর
নির্যাতনে শশুর মোঃ আলমাছ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
রোকেয়া বেগম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪:৫০ মিনিটে আমার মেয়ের জামাই মোঃ জোবায়ের রানা রাহুল তার মা আরও কয়েকজন সোনারগাও থানার পুলিশসহ আমার বাসায় এসে আমার মেয়ে আরিফা আক্তারকে খোজখুজি করে তখন আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে বলে আমার মেয়ে মাতুয়াইল মেডিকেলে আছে।
এই কথা শুনে আমার মেয়ের জামাই মোঃ জোবায়ের রানা রাহুল ক্ষিপ্ত হইয়া আমার স্বামী মোঃ আলমাছকে এলোপাথালী কিল ঘুষী লাথী মারার কারনে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আমার ডাক চিৎকারে তাহারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে আমি আমার স্বামীকে সোনারগাও স্বাস্থকপ্লেকসে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাকে মৃত্য বলে ঘোষনা করেন ।আমি এই হত্যার বিচার চাই, আমার স্বামীকে রাহুল এলোপাথালী কিল ঘুষী লাথী মারার কারনে সে মারা গেছে আমি তার পরিবারের ফাঁসি চাই। এ রিপোট লেখার পযর্ন্ত এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
উল্লেখঃ সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নে স্ত্রী নির্যাতনে অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরোয়ানায় যৌতুক লোভী স্বামী জোবায়েদ রানা (রাহুল) (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জেবায়েদ রানা (রাহুল) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের মো. আব্বাছ মেম্বারের ছোট ছেলে। জানাগেছে, ভুক্তভোগী আরিফা আক্তার সোনারগাঁ আদালতে জি আর ৩৭০/২০২৩ এ মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে যৌতুক লোভী স্বামী জেবায়েদ রানা রাহুল বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীর আদেশ দেন। আদেশের প্রেক্ষিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গত বুধবার তার নিজ বাড়ী থেকে জেবায়েদ রানা (রাহুল) কে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত যৌতুক লোভী স্বামী জেবায়েদ রানা (রাহুল)কে আদালতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের মোঃ আলমাছ এর মেয়ে আরিফা আক্তার (২৩) এর সাথে একই উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের মো. আব্বাছ মেম্বারের ছোট ছেলে জেবায়েদ রানা রাহুল (৩০) এর সাথে ২০২৩ সালের ১৭ ফ্রেরুয়ারী ৪ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়।বিয়ের সময় মেয়ের পিতা মো. আলমাছ বিভিন্ন উপঢৌকন দেন।
পরবর্তিতে শহরে জমি কেনার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। সে মোতাবেক টাকা না দিতে পারায় স্ত্রী আরিফা আক্তারকে সামাজিক ভাবে তার নিজ বাড়ীতে উঠিয়ে নিবে না বলে জানান। কিন্তু পিতার নিকট হতে টাকা চাইতে অস্বীকার করায় স্ত্রী আরিফা আক্তারকে বাপের বাড়ীতে গিয়ে মারপিট করে চলে আসে যৌতুক লোভী স্বামী জেবায়েদ রানা রাহুল।
এরপর সুবিচার পাওয়ার আশায় স্ত্রী আরিফা আক্তার নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং-৩৭০/২০২৩। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন গত ১৪ জুন জেবায়েদ রানা রাহুল ও তার সাথে আরো লোকজন মেয়ের পিত্রালয়ে আসে এবং মামলা প্রত্যাহরসহ দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে।এতে বাদীনি রাজি না হওয়াই এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীনিকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং তার বামপাশের হাতের হাড় ফেটে যায়। এ ছাড়াও বাদীনির গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। পুনরায় বাদীনিকে কথা আছে বলে সোনারগায়ের চৈারাস্তায় ডেকে এনে আসামী জেবায়েদ রানা রাহুল ও তার বোন জামাই কাজী শারজাহান শিবলী ও আরো কয়েকজন মিলে বাদীনিকে এলপাথারী মারধর করে এ সময় তার তলপেটে লাথি মারে সে এখন চিকিৎসা দিন আছেন।এ ঘটনায় আরিফা আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও আদালতে যৌতুক আইনে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুইটি মামলা করেন স্বামী জেবায়েদ রানা রাহুল, তার মা, পিতা মো. আব্বাছ মেম্বার (৬৫) ও বোন জামাই কাজী শারজাহান শিবলী (৪৫) এর নামে মামলা করে।