ফতুল্লার মাসদাইরে অর্ধশতাধীক সশস্ত্র সন্ত্রাসী এক কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে।
সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ অফিসসহ রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান ও বাসা বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রগ কেটে আহত করেছে কমপক্ষে ১২জনকে। তাদের মধ্যে রূপগঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। এছাড়া এক যুবককে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে তার অবস্থারও আশংকাজনক। আহতদের খানপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রায় এক ঘন্ট ধরে চলে সন্ত্রাসীদের তান্ডব।
এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় পুলিশের নিস্ক্রীয়তায় রাতে এলাকাগুলো অপরাধীদের দখলে চলে যায়। এতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
শনিবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ফতুল্লার মাসদাইর তালা ফেক্টরী মোড় থেকে মাসদাইর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘ এক কিলোমিটার এলাকায় এ তান্ডব চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টায় শাহীনের ছেলে নেছারের নেতৃত্বে সাব্বির বাহিনীর অন্তত অর্ধশতাধীক সন্ত্রাসী মাসদাইর তালা ফেক্টরী এলাকায় তান্ডব চালায়। এসময় ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর করে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শামীম ওসমানের ছবিসহ চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এরপর সড়কের পাশে দোকান, ‘বেক এন বিনস’ রেস্টুরেন্ট ও বাসা বাড়ি ভাংচুর করে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে।
সন্ত্রাসীরা মাসদাইর সরকারী বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত এ তান্ডব চালিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সড়কে যাকে কাছে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে জখম করেছে।
এরমধ্যে রূপগঞ্জ থানার এসআই মারুফ সাদা পোষাকে মোটরসাইকেলে ফতুল্লা থানা থেকে রূপগঞ্জ যাওয়ার পথে মাসদাইর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে ওই সন্ত্রাসীরা তার হাতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এঘটনায় এক কিলোমিটার এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে।
বেক এন বিনস রেস্টুরেন্টের মালিক সোহাগ জানান, শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টা ১০ মিনিটে হঠাৎ রেস্টুরেন্টের ভেতর হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এই সন্ত্রাসীরা। আর বলে বাইরে আসলে কোপামু, কিন্ত কেন কারা এই হামলা চালিয়েছে আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। আর আমার সাথে পূর্ব কোনো শত্রুতাও নেই। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে আধা ঘন্টা তান্ডব চালিয়েছে।
তিনি আরও জানান, মারুফ নামে রূপগঞ্জ থানার এক এস আই এর হাতে কোপ লেগেছে। তাকে ঢাকায় হাসপাতেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এক যুবককে কুপিয়ে রগ কেটে দেয়া হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।