সেতু বিভাগের অধীন মুক্তারপুর থেকে পঞ্চবটির মধ্যে ১০ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার পাশাপাশি ৯ দশমিক ০৬ কিলোমিটার অংশে দোতলা সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে গতকাল কাশিপুরে কয়েকটি ভবন ভাঙ্গে কতৃপক্ষ।
বুধবার (৩০ আগষ্ট) সকালে কাশিপুর রনি ডাইং সংলগ্ন মাদবর বাড়ির সামনে সড়ক প্রশস্থকরনের কাজে অধিগ্রহণকৃত জমির স্থাপনা উচ্ছেদ করে। স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের পরে তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে ভবন মালিক মো শফিরের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন রকম নোটিশ বা দিয়ে তারা অতর্কিত ভবে এসে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে। যেহেতু ভবনটি মেইন রাস্তার পাশেই,প্রতিদিন এখান দিয়ে হাজার হাজার লোক চলাচল করে,এখন যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে এটার দ্বায়িত্ব কে নেবে।
তিনি আরো বলেন, সকলের সার্বিক উন্নয়নে এই উচ্ছেদ এতে আমার কোন দ্বিমত নেই,আমি আমার ভবনটি নিজ দ্বায়িত্বে ভেঙ্গে সড়িয়ে নেবার জন্য সময় নিয়েছিলাম,কিন্তুু তারা কোন আগাম নোটিশ না দিয়ে আজকে এসে ভবনটি ভেঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রাখে যায়।আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যেন তাড়াতাড়ি ভবনটি ভেঙ্গে সড়িয়ে নেওয়ার এবং জন সাধারণের কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া।
প্রসঙ্গত, সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্পের আওতায় মুক্তারপুর থেকে পঞ্চবটির মধ্যে ১০ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার পাশাপাশি ৯ দশমিক ০৬ কিলোমিটার অংশে দোতলা সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া ৯ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অস্থায়ী সড়ক এবং ১৭ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হবে সেখানে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে ২ হাজার ২২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার এ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায়। তখন এর নাম ছিল ‘পঞ্চবটি হতে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প।
পরে সিদ্ধান্ত হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নয়, প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু অংশে দ্বিতল সড়ক নির্মাণ করা হবে। ব্যায় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।