২৫ হাজার টাকা মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের জোট ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের’ ব্যানারে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় গার্মেন্ট টিইউসি নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতা দুলাল সাহার নেতৃত্বে ও শ্রমিকনেতা জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে নূন্যতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা, ১০% ইনক্রিমেন্ট, বেসিক ৬৫% ও ৭ টি গ্রেড থেকে কমিয়ে ৫ টি গ্রেড করার দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন ৫ বছর অতিবাহিত হলেও মজুরি বোর্ড এখন পর্যন্ত নতুন মজুরি ঘোষনা করছেনা!
সরকারি হিসেবেই মূল্যস্ফিতি বছরে ১৫% আর ডলারের বাড়তি মূল্যে নিত্যপণ্যের মূল্যের দাম দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে। গ্যাস- বিদ্যুৎ- বাড়ি ভাড়া সব মিলিয়ে দিশেহারা শ্রমজীবি ও সাধারণ মানুষ। ফলে আগামি ৯ অক্টোবরের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষনা না হলে সারা দেশের সকল শ্রমিকদের নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট টিইউসির কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. মন্টু ঘোষ, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভা-প্রধান ও জোটের সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার, টেক্সটাইল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড.মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস। স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্য বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা আব্দুস সালাম বাবুল, এফ,এম সাইদ,আব্দুল আল মামুন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বন্দরে মাসুদ হত্যা, মামলা তুলে নিতে বাদীকে হত্যার হুমকি
বন্দরে আলোচিত অটো চালক মাসুদ হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য এবার হত্যা মামলার বাদী শফিউদ্দিনকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (৩০ আগস্ট) ভূক্তভোগী বাদী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বন্দর থানায় এ ডায়রী এন্ট্রি করেন। যার জিডি নং – ১৫৩৪। এর আগে গত বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলা দাঁশেরগাও এলাকায় এ হুমকির ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার বাদী শফিউদ্দিন গনমাধ্যমকে জানায়, গত ১০ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় বন্দর উপজেলার দাঁশেরগাওস্থ সুমনের খাওয়ার হোটেলের ভিতরে পুড়ি সিংঙ্গা বড় ছোট নিয়ে কথা কাটাকাটি জের ধরে উল্লেখিত এলাকার হাজী আমজাদ হোসেনের ছেলে সুমন ও তার দুই ছেলে আব্দুর রহমান ও তারেক একই এলাকার মৃত লাল মিয়া মিস্ত্রি ছেলে মো হোসেন আমার ছেলে অটো চালক মাসুদকে বেদম ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে আহত মাসুদের অবস্থা আশংকা জনক দেখে গত ১১ আগস্ট তাকে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তার অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ১২ আগস্ট রাত ১১টায় আমার ছেলে মৃত্যু বরণ করে। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে গত ১৩ আগস্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার ৩নং,৪নং ও ৫নং এজাহারভূক্ত আসামী গত ২৭ আগস্ট আদালত থেকে জামিনে আসে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় আমি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামিনপ্রাপ্ত উল্লেখিত ৩ আসামী আমাকে দাঁশেরগাও এলাকা দেখে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মামলা তুলে না নিলে আমার ছেলের মত আমাকে অথবা আমার ছোট ছেলেকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। জামিনপ্রাপ্ত আসামীদের হুমকি দামকি কারনে আমার ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিস্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগীসহ তার পরিবার।