বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জুম্মান হত্যা চেষ্টার ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে আহত যুবলীগ নেতার মেয়ে সানজিদা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৪(৯)২৩ ধারা- ১৪৩/ ৩০৭/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ১১৪/ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০। এর আগে গত সোমবার ( ২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কল্যান্দী বালুর মাঠের সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
তথ্য সূত্র মতে, গত ২৭ আগষ্ট রোববার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুম্মানকে অজ্ঞাতনামা একটি নাম্বার (০১৬৩৪৩৬৮৫৪৪) থেকে তাকে ডিসলাইনের কথা বলে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদ সংলগ্ন বালুর মাঠে ডেকে নেয়। জুম্মান সেখানে যাওয়ার পর পরই শেখ আরিফ, কাটা সিফাত, রিং শাহিন, চিকনা যুবায়েরসহ অভিযোগে উল্লেখিতরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র কুড়াল, রামদা, চাপাতি, সামুরাই, হকিষ্টিক ও কাঠের স্ট্যাম্প দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।
এক পর্যায়ে তোতলা আরিফ ও কাটা সিফাত দেয়ালে ঠেকিয়ে তাদের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে জুম্মানকে জবাই করার জন্য উদ্যেত হলে জুম্মান তাদের রাম দা হাত দিয়ে বাধা দেয়। এ সময় অন্যরা জুম্মানের দু’ হাত ধরে রাখে এবং আরিফ ও সিফাত পায়ে উপর্যুপরি কোপায়।
শেষ পর্যায়ে আউয়াল জুম্মানের নাকের মধ্যে কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে ডাক চিৎকার করে। জুম্মানের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা বেগতিক বুঝে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত জুম্মানের আশংকা কাটেনি। উল্লেখ্য,শেখ আরিফ ঢাকার একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী,ড্রেজার সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিয়ে আসছে। এছাড়াও তার ভাতিজা শেখ সিফাত ওরফে কাটা সিফাত বাহিনী এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হিসেবে বন্দর শাহী মসজিদ ও তার আশ পাশের এলাকায় প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনাসহ ছিনতাই,চাঁদাবাজী রাহাজানি ও নানা প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানা প্রায় অর্ধডজন মামলাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।