সিদ্ধিরগঞ্জে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন করার সময় আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গালমন্দ ও মারধর করতে উদ্ধত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে হাফেজ আহাম্মদ খন্দকার নামে জনৈক ব্যক্তি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
এমনকি ওই প্রতিষ্ঠানে পূণঃরায় আসলে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বলে জানান স্কুলের শেয়ার মালিক আল মামুন। তিনি বলেন, আমরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বরণে ১৫ আগষ্টে স্কুলের অনুষ্ঠান করতে গেলে খন্দকার সাহেব আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। ঘটনাটি সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় শিফা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ঘটে ১৫ আগষ্টে।
এ ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ছয় মালিক। তারা জানান হামলাকারী হাফেজ আহাম্মদ খন্দকারসহ তার সহযোগীদের ভয়ে এতদিন তারা পুলিশের স্মরণাপন্ন হননি।
এলাকাবাসী ও জিডি সূত্রে জানা গেছে, জনৈক মোঃ আলমগীর হোসেন, আল মামুন সহ কয়েকজন শিক্ষানুরাগী সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় মক্কা লেক ভিউ টাওয়ারের ঐ ভবনে শিফা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠান করেন। ওই প্রতিষ্ঠানে মালিকগণ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা সহ নানা অনুষ্ঠান হয়।
এসময় দুপুর ২ টায় জনৈক হাফেজ আহাম্মদ খন্দকার ও তার সহযোগীরা ঐ প্রতিষ্ঠানে এসে অনুষ্ঠান আয়োজকদের গালাগালি করতে থাকে। একপর্যায়ে হাফেজ আহাম্মদ খন্দকার ও তার সহযোগীরা অনুষ্ঠান আয়োজকদের মারধর করার জন্য উদ্ধত হয়।
এসময়ে স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ স্কুল মালিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হাফেজ আহাম্মদ খন্দকার ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা হুমকি দেয় যে, প্রতিষ্ঠান মালিকগণ যদি পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে আসে তবে আহাম্মদ খন্দকার ও তার সহযোগীরা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলবে।
ভীত সন্ত্রন্ত হয়ে এতদিন তারা প্রশাসনের স্মরণাপন্ন না হলেও ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার আরিফুল ইসলাম, মোঃ আবু ইউনুস সুজন, আল মামুন, জহিরুল ইসলাম, মোঃ হোসেনকে নিয়ে আলমগীর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি (নং-৯৮) এন্ট্রি করেন। শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে বাধা ও হুমকির ঘটনায় এলাকায় চলছে তোলপাড়। প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, হাফেজ আহাম্মদ খন্দকার ও তার সহযোগীদের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্য্যক্রম ব্যহতসহ ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুলের মালিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এঘটনার সর্ম্পকে জানতে হাফেজ আহাম্মদ খব্দকারকে একাধিক ফোন করার পরও ফোন ধরেন নাই।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।