সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরপরই নড়েচড়ে বসেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। সংবাদ প্রকাশের পরপরই মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের ধরতে বিভিন্ন স্পটে অভিযানে নামে ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম।
এরই মধ্যে পুলিশের হাতে সহযোগীরা গ্রেফতার হলেও সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক মামলার আসামি নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসায়ী রানা ওরফে ইয়াবা রানা ও শামীমের নিয়ন্ত্রণে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা।
স্থানীয়রা বলছে চুনোপুঁটিরা গ্রেপ্তার হলেও রাঘববোয়ালরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মূলত বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই মাদকের ভয়াবহতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করেন তারা।
এলাকাবাসীরা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে রানা ও তার সহযোগীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সহজলভ্য হওয়ায় মাদকে ঝুঁকছে সিদ্ধিরগঞ্জের যুবসমাজ। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গত কয়েকদিন আগে মাদক ব্যবসায়ী রানার সেন্ডিকেটের দুই-তিন জন মদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তারপরও রানা ও শামীমের মাদক ব্যবসা চলছে রমরমা।
সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের একাধিক মাদক মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী রানা ওরফে ইয়াবা রানা ও শামীম ওরফে ফেন্সি শামীম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের দক্ষিন পাশে আইডিয়াল স্কুলের গলি ও মদিনা সুপার মার্কেটের পিছনে মাদক ব্যবসায়ী রানার বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও জুয়ার আসর।
এদিকে নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি কেন্দ্রীয় কবরস্থানের উত্তর পাশে সড়ক পাড়া এলাকার একাধিক মাদক মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী শামীম ওরফে ফেন্সি শামীমের নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। এই মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রানা ও শামীম গড়ে তুলেছে ১২/১৫ জনের একটি বিশাল সিন্ডিকেট। যার অধিকাংশ ছেলে অল্প বয়সের কিশোর। এসব কিশোর ছেলেদের দিয়েই তারা মাদক সরবরাহ করছে। যার ফলে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিদ্ধিরগঞ্জের এক বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যার পরপরই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ওই এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লা ও অলিগলি। পুলিশ রাস্তা দিয়ে টহল দিয়ে চলে যায়। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের সহযোগীদের দিয়ে রাতের অন্ধকারে অলিগলি দিয়ে মাদক সরবরাহ করে থাকে। যার কারনে পুলিশ সহজে তাদের ধরতে পারে না। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন পুলিশ যদি প্রতিটি পাড়া মহল্লা ও অলিগলিতে টহলের জোরধার ও অভিযান পরিচালনা করতো তাহলে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হতো। মাদক ব্যবসায়ী শামীম বেশ কিছুদিন পূর্বে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ নারায়ণগঞ্জ ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু জামিনে এসে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে শামীম।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আপনাদের ও পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সংবাদ প্রকাশের পর আমরা অভিযান চালিয়ে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে মাদক মামলায় আদালতে পাঠিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।