নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী দুই মাস কঠিন ষড়যন্ত্র হবে। আমি আপনি না থাকলে কিছু হবে না। একটা মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে। ঐ মহিলাকে নিয়েই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আল্লাহ যেনো জাতির পিতার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখে।
আমি জাতির পিতার কন্যার কাছে চিঠি লিখেছি। আমাকে যেনো মনোনয়ন না দেওয়া হয়। আমি এমপি হতে চাই না। এমপি না হলে কি হবে। বাকি কাজগুলো আমি শেষ করতে পারবো। নয়শো টাকার জন্য পরিক্ষার ফরম ফিলাপ করতে পারি নাই আমি।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা একজন সৎ লোক ছিলেন। আমার মা অনেক সাহসী মহিলা ছিলেন। আমার মা কখনো ভয় পেতেন না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চাইতে বড় ভাই চলে গেলেন ভারতে। রাজনীতি করবো কখনো চিন্তা করি নাই। একটা দেশ স্বাধীন করে যারা লুটপাট করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়। তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে দেখেন পাকবাহিনী মারতে পারলো না কিন্তু আমরা মেরে ফেললাম। পরিবারসহ হত্যা করলো। ছোট ছেলেটাকেও ছাড়লো না। আমার অবাক লাগে। আমরা কি জাতি একটা মহিলাকে আমরা এতিম করে দিলাম।
জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২-এ তার পিতার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পরতে চেয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর নামাজ পরতে দেয় নাই। এই দেশে এখনো যদি রাজাকার আল সামস্, জামাতের লোকেরা যদি কথা বলে হুমকি দেয় রাজপথ দখল করার তাহলে এই স্বাধীনতার কোন দরকার নাই। আপনাদের কাছে আমরা একটা প্রশ্ন বঙ্গবন্ধুকে মারলো, শেখ হাসিনাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। শরীরের রক্ত এখনো টগবগ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছি। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন আপনার আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত। তাই শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই নারায়ণগঞ্জ গত ১৪ বছর অনেক শান্ত ছিলো। আমরা ক্ষমতায় এসে কিন্তু কাউকে একটা ফুলের টোকাও দেই নাই।
দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকে আমরা ভয় পাই না। মা কইয়া গো বলার সময় পাবেন না কিন্তু। নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা কইরেন না। মা কইয়া গো বলার সময় পাইবেন না। বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শের প্রতিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অশ্লীল ভাষায় কেউ গালি দিবেন আমরা কিন্তু ঘরে বসে থাকবো না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতিসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রমুখ।