নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর ফতুল্লা পুলিশ মাসদাইর বাজারের সাথে পান্নু হাজীর পাঁচ তলা বাড়ীর নিচ তলায় জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দোকানদারা, পুলিশ আসার খবর পেয়ে জুয়ার আস্তানা থেকে পালিয়েছে কাইল্লা সাফুদ্দিন, গাজাখোর শাহআলম, ফেন্সি সালাম, বরিশ্যাইল্লা আলম ও মালাউন লিটনসহ অন্য জুয়ারীরা।জানাযায় যে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাসদাইর বাজারের সাথে পান্নু হাজীর পাঁচ তলা বাড়ীর নিচ তলায় কাইল্লা সাফুদ্দিন, গাজাখোর শাহআলম, ফেন্সি সালাম, বরিশ্যাইল্লা আলম, মালাউন লিটন এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে চলছিল জমজমাট জুয়া ও মাদকের আসর।
আর এই মাদক সাপ্লাই দিতে ফেন্সি সালাম এই পান্নু হাজীর পাঁচ তলার তিন তলায় একটি গোপন অফিস কক্ষ আছে যেখানে ফেন্সিডিল,গাজা, মদসহ অনেক মাদক মজুত রাখা হয় বলে যানা গেছে। পান্নু হাজীর বাড়ীর নিচ তলায় জুয়ার পাশাপাশি মাদক সেবনও করছে জুয়া খেলতে আসা এই সব জুয়ারীরা।
মাসদাইরের বেশ কয়েকটি স্থানে প্রকাশ্যে বসে জমজমাট জুয়া ও মাদকের আসর বসত আর প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তা চালাচ্ছে কাইল্লা সাফুদ্দিন, গাজাখোর শাহআলম, ফেন্সি সালাম, বরিশ্যাইল্লা আলম, মালাউন লিটন।
স্থানীয় দোকানদার ও বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বাজার এলাকাতে জুয়া ও মাদকের আসরে যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ আমোদ ফ‚র্তি করতে আসে।এসবের ফাঁদে পড়ে অনেকেই টাকা-পয়সা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
দোকানদারদের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। নাম না প্রকাশ্যে একজন দোকানদার জানান যে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর গাঁজার গন্ধ্যে আমরা এখানে বসে ব্যবসা করতে পারছি না গাঁজার গন্ধ্যে দোকানে কোন কাষ্টামার আসছে না।আমারা দোকানীরা জানিনা বাড়ীর মালিকের কি লাভ এই জুয়া ও মাদকের আসর এখানে রেখে, প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবী জানাচ্ছি অবিলম্বে এই জুয়া ও মাদকের আসর যত তারাতারী নির্মূল কর হয়। এদিকে জুয়া ও মাদকের কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে পারিবারিক সহিংসতা ও কলহ। বেড়েছে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের ঘটনাও।খেলতে আসা বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত মানুষ। দূর দূরান্ত থেকে বিত্তশালী বহিরাগতদের নিয়ে দিন-রাত লক্ষ লক্ষ টাকার বাঁজি ধরে তাসের আড্ডা বসিয়ে চালাচ্ছে এই বাণিজ্য। সেই সাথে চলছে মাদকসেবনের মহা উৎসব। ইদানিং দেখা যাচ্ছে মাসদাইর বাজারের আসর গুলোতে নামি-দামি মোটরসাইকেল নিয়ে যুবকদের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক বেশি।
গভীর রাত পর্যন্ত এ আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে।এসবের কারণে এলাকার চুরি ছিনতাই মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত কার্যক্রম বেড়েই চলছে। এমনভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাবে। এ জুয়ার কারনে পারিবারিক ভাবে বহু পরিবারের মাঝে অশান্তি বিরাজ করছে।