নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন সবুজ। এক সময়ে বিএনপির রাজপথ কাঁপানো নেতা ছিলেন এই আক্তার হোসেন সবুজ। বিগত সময়ে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই নেতা।
বিএনপি ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা শিকার হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছিল সবুজ। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটেন তিনি। তারপরও দলের প্রতি ভালবাসার টানে এখনও বিএনপির দলীয় সকল কর্মসূচিতে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন।
শেষ পর্যন্ত আক্তার হোসেন সবুজকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি পঙ্গুত্বের কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটার অপবাদ দিয়ে সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক পদটি না দিয়ে তাকে সহ-সভাপতি পদটি দেওয়া হয়। আক্তার হোসেনের সবুজকে মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সুপারিশও করেছিলেন।
কিন্তু কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি আক্তার হোসেন সবুজকে না দিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকারের ভাগিনা রশিদুল ইসলাম রশুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেন।
আর কাঙ্খিত পদটি না পেয়ে আক্তার হোসেন সবুজ তার ব্যবহৃত ফেইসবুকে আইডিটে স্ট্যাটাস দিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো ঝড় উঠে গেছে আক্তার হোসেন সবুজের সেই স্ট্যাটাস।
আক্তার হোসেনের সবুজে সেই স্ট্যাটাস হুবাহু তুলে ধরা হলো- মহানগর কৃষক দলের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে যেখানে আমাকে সহ- সভাপতি রাখা হয়েছে। আমি সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী ছিলাম, আমাকে সাধারণ সম্পাদক দেওয়া হয়নি।
যে কারনটি দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেছেন সেটা শুনে আমি অনেক মর্মাহত হয়েছি। আমাকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছিল।
বহু চিকিৎসার পর আমি একটু খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটি এটা আমার পদ না পাওয়ার অন্যতম কারন বলে উনি উল্লেখ করেছেন। যেটা শুধু অনেকটা আফসোসের বষিয়। পক্ষান্তরে বিনয়ের সাথে বলছি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতার দুই পা নাই।
বোমের আঘাতে দুইটি পা নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে তিনি ক্রাচে ভর করে হাটেন।
আর আমার দলের নেতা গুলি খেয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটি বলে পদ বঞ্চিত করেছে। আমি কোন ব্যক্তিগত কারণে গুলি খাইনি সম্পূর্ণ রাজনীতির কারণে আমাকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। যা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে।
যাই হোক এই ধরনের উদাহরণ দলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। সবাইকে আল্লাহ সুস্থ রাখুক, আর আমার মতো কেউ এরকম আঘাত না পায় সেই দোয়া রইলো।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বও নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এনামুল খন্দকার স্বপনকে সভাপতি এবং রশিদুর রহমান রশুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
কমিটিতে বাকিরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল কবির নাহিদ, সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, আকতার হোসেন সবুজ, মাহবুব হাসান জুলহাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন খান ও দপ্তর সম্পাদক খন্দকার।