নারায়ণগঞ্জ শপিং কম্পেলেক্স-৩ দোকান মালিক ক্ষুদ্র বব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: সভাপতি আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম তালুকদার দোকান বরাদ্দের নাম করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পজিশন বরাদ্দের জমা দেওয়ার টাকা ফেরত চাহিলে ডিবি পুলিশের ভয়ভীতি দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে।
নিরাপত্তার সাথে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক ভুক্তভোগী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দোকান বরাদ্দকৃত ব্যাক্তিদের পজিশন দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের মনগড়া মত ব্যাক্তিদেরকে পজিশন বুঝিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে। এ ট্রাস্টের দোকান পজিশন প্রথমে যারা বরাদ্দের জন্য টাকা দিয়েছে তাদের বরাদ্দ না দিয়ে নিজেদের পকেট ভাড়ি করার লক্ষে অন্যকে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে। এচক্রের সাথে রয়েছেন, সারোয়ার খান।
তারা আরোও জানান, আবুবক্কর সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তিকে ১৫ টি দোকান বরাদ্দের ও সমিতির সহ-সভাপতি পদ দেওয়ার নাম করে ১কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে বিভিন্ন ৩টি মামলা দিয়ে তার বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা চালাচ্ছে। এছাড়াও মঞ্জুর আলী স্টোর, রহমান ব্রাদার্স, জামাল হোসেন,সিরাজ, বিভিন্ন স্টোর নাম সহ নিজ নামে দোকান পজিশনের জন্য টাকা দিয়েছেন। দোকান বরাদ্দের – পজিশন বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে তালবাহানা করলে ভুক্তভোগীরা বরাদ্দকৃত জমা দেওয়ার টাকা ফেরত চাইহিলে ডিবি পুলিশ মাধ্যমে তুলে নিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়। বলা হয় এমন মামলা করা হবে সহজে জামিন হবে না।
নারায়ণগঞ্জ শপিং কম্পেলেক্স-৩ সভাপতি ও সেক্রেটারি সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় ডিবি পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখানোর ব্যাক্তি হলেন, সাইনবোর্ড শান্তিধারা হকার্স মার্কেটের চক্রের সদস্য গাজীপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রার্থী সারোয়ার খান। এর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে সারোয়ার খান এর ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ড হইতে।
মূলত নারায়ণগঞ্জ শপিং কম্পেলেক্স-৩ নাম মাত্র লোক দেখানোর কাজ করলেও এখান থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ সাইনবোর্ডস্থ শান্তিধারা হকার্স মার্কেটে উন্নয়নে টাকা ব্যয় করছেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী আবুবক্কর সিদ্দিক ভয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও তিনি জানিয়েছেন এবিষয়ে আমি আপনার সাথে সরাসরি পরে কথা বলবো।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শপিং কম্পেলেক্স-৩ দোকান মালিক ক্ষুদ্র বব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, যারা ট্রাস্টের কর্মচারী একটা কর্মচারী যদি বলে আমরা বরাদ্দ পাই নাই আমি সম্পর্ন দোকান ফ্রিতে দিব। আপনাকে চায়ের দাওয়াত দেওয়া হলো সামনা সামনি কথা বলব।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এর আওতাভূক্ত তবে নারায়ণগঞ্জ শপিং কম্পেলেক্স-৩ পজিশন বরাদ্দ পাওয়া নিয়ে অনেকেই অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।