সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ব্রিফিংয়ে উঠে আসে নানা বিষয়ক প্রশ্ন ও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ইস্যু।
সোমবারের (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ইস্যুটি উত্থাপন করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের কাছে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম নিয়ে তাদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রিফিংয়ে তাকে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ৪৮ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিয়েছে। বর্তমানে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গৃহবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মুক্তির বিষয়ে মিলারের বক্তব্য জানতে চান ওই সাংবাদিক।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিষয়টি অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।
এবার ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড লু
ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি আরোপসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন মার্কিন এ মুখপাত্র। এর আগে বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তার আগে শুক্রবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।
তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি, এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে সার্বিক ঘটনা খুব কাছ থেকে আমরা দেখেছি। সাক্ষ্যপ্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর আমরা বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। সূত্র: কালবেলা