নারায়ণগঞ্জ থেকে গার্মেন্টস পণ্যে ডেলিভারির দেয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে, অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যাক্তির নাম এস এম নাসির উদ্দিন (৪৫)। সে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চরকুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। পেশায় গার্মেন্টস পণ্যের ব্যবসায়ী ছিলেন সে।
ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে ডেমরা স্টাফ কোয়াটার মসজিদের পাশে রাস্তা থেকে অচেতন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাকে প্রথমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ছিলেন। তাকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার সাথে মোবাইল, টাকা-পয়সা কিছুই পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মৃত নাসির উদ্দিনের বড় ভাই এস এম হুমায়ুন কবির জানান, রাজধানীর ডেমরা এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় ব্যাচেলর হিসেবে থাকতেন নাসির। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টস পণ্য সরবরাহ করতেন তিনি।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, গ্রামের চরকুনিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাসির। স্কুলটির একটি অনুষ্ঠানে গত পরশু ঢাকা থেকে গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর গতকাল বুধবার ভোরে গ্রাম থেকে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তখন স্বজনদেরকে জানিয়েছিলেন, নারায়ণগঞ্জে ৫-৭ হাজার মালের ডেলিভারির অর্ডার পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ কাজ শেষ করে এরপরে ডেমরার বাসায় ফিরবেন। তবে বুধবার সন্ধ্যার পর তারা পুলিশের মাধ্যমে খবর পান, নাসিরকে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর আজ ভোরে বড় ভাই হুমায়ুন কবির ঢাকা মেডিকেলে নাসিরকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে বেডে দেখতে পান। তখন তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। চিকিৎসকরা তাকে আইসিউতে নেয়ার জন্য বলেছিলেন। তবে এর মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। বাসের মধ্যে তিনি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা স্বজনদের।