ফতুল্লার কুতুবপুরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চিতাশালের চিহ্নিত রিকশাচোর ও জুয়াড়ি মালেক। এতে করে কুতুবপুর ও ফতুল্লাজুড়ে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে রিকশা ও অটোরিকশা চুরি। অন্যদিকে জুয়াড়ি মালেকের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্পটে চলছে অবাধে জুয়া৷ সূত্র জানায়, একসময়ের ছিঁচকে চোর মালেক বিভিন্ন বাসাবাড়িতে চুরি করতো৷ হতদরিদ্র পরিবারের মালেক একপর্যায়ে ফরিদপুর থেকে পেটের টানে নারায়ণগঞ্জ এসে পায়ে চালিত রিকশা চালাতে থাকে৷ এরপর রিকশা চালানোর পাশাপাশি রিকশা চুরিও শিখে নেয়। একপর্যায়ে রিকশাওয়ালা মালেক রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়ে রিকশা চুরি করাকেই পেশা হিসেবে নেয়। পাশাপাশি মানুষের ফুটফরমাশ খাটতে থাকে।
একাধিক সূত্রমতে, মালেক এযাবতকালে শতাধিক রিকশা চুরি করেছে। এমনকি রিকশা চুরি করতে তার প্রশিক্ষিত চোরেদের একটি দল রয়েছে৷ কুতুবপুর ও ফতুল্লার যেকোনো স্থানে রিকশা চুরি হলেই সবার আগে আসে রিকশাচোর মালেকের নাম।
নয়ামাটির রিকশাচালক সালাম জানান, মালেক এই এলাকার কুখ্যাত রিকশাচোর। আমাদের যেকারো রিকশা চুরি হলেই সবার আগে মালেককে সন্দেহ করি৷ ওর নামের আগে রিকশাচোর না বললে ওরে কেউই চেনে না।
জানা যায়, বিগত ছয় মাসে পুরো ফতুল্লাজুড়ে দশটিরও বেশি রিকশা ও অটোরিকশা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির ঘটনা ঘটাতে গিয়ে হত্যা করতেও পিছপা হয়নি চোরের দল৷
মালেক ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশায়ও আসক্ত বলে জানা যায়। তার গ্যারেজে নিয়মিতই নেশার আসর বসায় সে। এছাড়া ওই গ্যারেজে জুয়ার আসরও বসে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে মালেকের মোবাইলে কল করা হলে তিনি তা কেটে দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।