মানববন্ধনে ভুয়া ফতোয়া বক্তব্য দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মাওলানা গাজী তামিম বিল্লাহ আল কাদরী।
নারায়ণগঞ্জে প্রখ্যাত আলেম ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল সাহেবকে মিথ্যাবাদী ও তার সহধর্মিনীকে জড়িয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ মাওলানা আব্দুল আউয়াল’র অনুশারীরা প্রতিবাদে ফুসে উঠেছেন।
তামিম বিল্লাহ পর-নারীর সাথে অনৈতিক কাজে ধরা খাওয়ায় কি স্ত্রী বিচ্ছেদ হয় কি না এবং মিথ্যা কথা বললে স্ত্রী বিচ্ছেদ হয়ে যায় বা নামাজ হয় না এমন বিষয়ে নারায়ণগঞ্জে আলেম ও মুফতিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুন অর রশিদ বলেন, “মাওলানা আব্দুল আউয়াল সাহেব নারায়ণগঞ্জের মুরুব্বী। তামিম বিল্লাহ যে মাসআলা বলেছে তা ভুল বলেছে। তার এলেম কালাম বলতে কিছুই নাই। সে চাপার জোড়ে মাসআলা দিয়েছে। যদি মিথ্যা কথা বললে স্ত্রী তালাক হয়ে যায় তাহলে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের স্ত্রী তালাক হত। এটা মিথ্যা বানোয়াট একটি মাসআলা, সে অযোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছে। তার কোন যোগ্যতাই নাই। আলেম কালাম যদি থাকতো তাহলে পাবলিক প্লেসে এগুলো বলত না।”
তিনি আরোও বলেন, “২৯ অক্টোবর ২০০০ইং সালে সে যে কাজ করেছে পর-নারী নিয়ে ধরা খেয়েছে, মার খেয়েছে। যদি শরীয়তের আইন থাকতো তাহলে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে জনসম্মুখে হত্যা করা হতো। এ আইন নাই বলে, আইন থাকলে তার শাস্তি হত। সে যে ফতোয়া দিয়েছে তার শরীয়তের সাথে ইসলামের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই।”
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, “মিথ্যা কথা এক বিষয় এবং পরক্রিয়া আরেক বিষয়৷ এ দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। এটা ভূল তথ্য! মিথ্যা কথা হচ্ছে কবিরা গুনাহ। পরের স্ত্রী’কে নিয়ে পরক্রিয়া করতে গিয়ে ধরা খেলেও কবিরা গুনাহ। বিতর্কিত আলোচনা না করাই ভালো। আমাদের নবী করীম (সা:) সবার ঊর্ধ্বে। তাকে নিয়ে বক্তব্য করা যে কাউকেই ভালো বলি না। নবীজি নূরের তৈরি না মাটির তৈরি এটা নিয়ে বিতর্ক করা বোকামি। আমাদের নবীর জন্মদিনে আমরা খুশি। এটা নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে এমন কিছু করতে হবে এটা আবার নাই। নবীজি নবুওয়াত পাওয়ার পর তাকে বলে সিরাতুন্নবী। আর মিলাদুন্নবী হচ্ছে আলোচনার বিষয়।”
মহানগর ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সহ ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা বলেন, তামিম বিল্লাহ যে মাসালা দিয়েছেন তার ভিক্তিতে ২৯ই অক্টোবর ২০০০ইং সালে সাঈদ বাঙ্গালি নামে এক ব্যাক্তি যে ফেইসবুক আইডিতে পর-নারীর সাথে রাত্রী যাপন করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। তামিম বিল্লাহ সে ক্ষেত্রে তার মাসালা অনুযায়ী তার স্ত্রীরও বিচ্ছেদ হয়েছে।