তথাকথিত সুন্নীনামধারী ভন্ড-বেদআতী মাজার-পূজারী কর্তৃক ডি.আই.টির মসজিদের খতিব পীরে কামেল রাহবারে উম্মত আল্লামা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব এর বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে ও তাদের অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর উলামা পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
শুক্রবার ৬ই অক্টোবর বাদ জুম’আ ডি.আই.টি মসজিদ চত্ত্বরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর উলামা পরিষদের আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইডি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
বিক্ষোভ মিছিল এর পূর্বে মাওলানা তামিম বিল্লাহ’কে উদ্দেশ্য মহানগর উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আপনারা কার বিরুদ্ধে কথা বলছেন বুঝেশুনে কথা বলুন। প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরাই যথেষ্ট। তাদের পূর্ব উত্তরসূরিরা হচ্ছে ইংরেজদের দালাল। আমরা এই বেদাতিদেরকে নারায়ণগঞ্জ এর মাটি থেকে উৎখাত করে ছাড়বো। হুজুর আমাদের বুঝাতে চেয়েছেন কোনটা হালাল কোনটা বেদাত, এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। হুজুর আব্দুল আউয়াল সাহেব ভাইসা আসেন নাই। এক বেদাতির বিরুদ্বে ফকিরতলা ইমাম মনির সাহেব ছাড়া কোন বেদাদীদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় নাই। হুজুরের শিষ্যদের সাথে লড়ে দেখ বেটা। চাপার জোর দিয়ে কোরআন চলে না। বেদাতিরা তারিখ দিয়ে তারাই একাই বিজয় লাভ করে। সাধারণ মুসলমানদের ভুয়া ফতোয়া দিয়ে ধোকা দিচ্ছে নাম তার তামিম বিল্লাহ। আব্দুল আউয়াল সাহেব কুমিল্লার নয়, নারায়ণগঞ্জেরও নয় সারা বাংলাদেশের মুসলিম জনতার স্পন্দন তিনি। ওসমান পরিবার কুমিল্লা থেকে এসে নারায়ণগঞ্জ চালায় সেটা বলতে পারেন না।
তারা আরোও বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে হুজুরের পায়ে ধরে ক্ষমা না চাওয়া হয় এর পরিনাম ভয়াবহ হবে। দেখব ক্ষমতার জোড় কত দূর। হুজুর হুকুম দিলে তোমাদের যেখানে পাব জুতাপেটা করা হবে। আমরা পিটাইন্না প্লেয়ার। বছরে একবার আসো তোমরা ঈদে মিলাদুন্নবী করতে আমরা মাসে দুই চার পাঁচটা প্রোগ্রাম করে থাকি। হুজুর তোমাদের কে জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য আদর্শ দিয়েছিল। সেটাকে তোমরা বিশাল আকারে ওনার বিরুদ্বে ভূমিকা নিয়ে আসছো। হুজুর নারায়ণগঞ্জে একা না। তোমরা জানো হুজুর আব্দুল আউয়াল সাহেব নারায়ণগঞ্জে পতিতা উচ্ছেদ করেছিল। অবিলম্বে এক সপ্তাহের মধ্যে মাওলানা ফেরদৌসুর রহমানের কাছে এসে ক্ষমা ভিক্ষা চাও তা নাহলে আমাদের এক ঘন্টা লাগবে তোমাকে কুত্তার মত পিটাবে, নারায়ণগঞ্জ থেকে পালাইবার রাস্তা পাইবানা। এঘটনায় সাড়া দেশ থেকে আমাদের কাছে ফোন এসেছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন,
আমরা কার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিব। তার নাম নেওয়ার মতো লোক কি আমরা। আমার হোয়াটসঅ্যাপে একজন ভিডিও দিয়েছে তারা হাতে গোনা ১৮/১৯ জন৷ তারাতো টোকাই পোলাপান নিয়ে মানববন্ধন করেছে এটা লজ্জার বিষয়। রাসুল (সাঃ) এর শান কোথায়। তারা গলার মধ্যে মালা ঠালা পরে রাস্তায় নেমে ঘুরে তুই বলার কে। আমাদের হুজুর যদি ঘোষনা দেয় তাহলে তোমাদের মাঠে নামতে দিব না। কাদের নিয়ে কথা বলো হিসাব করে বলো তোমাদের রেকর্ড যদি ফাস করি মুখ দেখাইতে পারবা না। কই জানি ধরা পড়েছে! ওই মনে করেছে ভুইলা গেছে আবারো মানুষকে সজাগ করতে চায়। আলাউদ্দিন জিহাদি বলছিল মামলা করতে আমি বলছি মামলা করিস না ওকে ভাইরাল করে লাভ কি। কামাল উদ্দিন দায়েমী সাহেবের সাথে খেল আমার সাথে খেললে পালাইবার জায়গা পাবিনা।
তিনি আরোও বলেন, ওসি সাহেব বলছিল প্রোগ্রামটা কইরেন না। আমি বলেছি কে তারা নাকি কাউন্টার প্রোগ্রাম দিব আমি বলেছি তাদের ফু দিব ফুয়ের উপরে উইড়া যাইব। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে মসজিদ করেছেন সরকার তার সুনাম হয়না কেন। আপনারা বেদাতি মাজার পূজারীর হাতে তুলে দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের মসজিদের নামও কেউ নেয় না। একজন ইমাম দাঁড়ায় মসজিদের সুনাম বাড়ে। ডিআটি মসজিদ কার দ্বারায় পরিচিত হয়েছে আব্দুল আউয়াল সাহেবের আমাদের হুজুরের দ্বারায়।
সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন, মহানগর উলামা পরিষদের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন দায়েমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনউর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাইজুল ইসলাম আব্বাস, মুফতি ওমর ফারুক সহ অন্যান্য আলেম ও মুফতিগণ।
উল্লেখ্য যে গত ৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে নুন্যতম লোক নিয়ে প্রখ্যাত আলেম ডিআইটি মসজিদের খতিব আল্লামা আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে ভূয়া ফতোয়া এবং ৬৪ জেলায় মামলা করার হুমকি দেন বিতর্কিত মাওলানা গাজী মোঃ তামিম বিল্লাহ আল কাদরী।