নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৮ নং ওয়ার্ডে খানাখন্দে ভরা। প্রতিনিয়তই যাতায়াতকারীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। ওয়ার্ড জুড়ে ছোট বড় খানাখন্দে পুকুরের মত তৈরি হয়েছে শত শত গর্ত জনসাধারণের মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিটি নির্বাচনে ছয় প্রার্থীদের মধ্যে দেখা নেই উন্নয়নের রুপকার, সমাজসেবক, জনদরদী, গরিবদুঃখী মেহনতি মানুষের বন্ধুদেরকে। নির্বাচন আসলেই তারা এসমস্ত কথা বলে থাকেন। আসলে কি তারা জনসেবা করার জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন! নাকি লোক দেখানোর প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন এমনই কথা বলছেন নাসিক ১৮নং ওয়ার্ডের নিয়মিত যাতায়ত করা কর্মজীবী ভূক্তভোগীরা। এর থেকে পরিত্রাণ চায় ওয়ার্ডবাসি।
ভূক্তভোগীরা আরোও জানান, ১৮নং ওয়ার্ডে প্রত্যেকটা এলাকাতে সড়কের এরকম বেহাল অবস্থা হালকা বৃষ্টি হলে পুকুরে পরিণত হয়ে যায়। এলাকা গুলো হলো নিতাইগঞ্জ, নলুয়াপাড়া, স্বাধীনতা চত্বর, শীতলক্ষ্যা, আলামিন নগর, তামাক পট্রি, শহিদনগর, ডিয়ারা, সুকুমপট্রি। এসমস্ত এলাকা গুলোদিয়ে প্রতিনিয়তই শত শত কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ যাতায়ত করে এবং ঐসম্ত এলাকা সহ আশেপাশের এলাকার যাত্রীসহ বিভিন্ন প্ররকার ব্যবসায়ীদের মালামাল সহ উল্টে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় ঐসমস্ত ব্যক্তিদের।
এছাড়া ক্ষোভ নিয়ে ভূক্তভুগীরা আরোও জানান, আমরা কি সিটিতে বাস করি না ইউনিয়নে বাস করি! সিটি নির্বাচন আসলে প্রত্যেক প্রার্থীর মহিলা-পুরুষ কর্মীদের মুখে মুখে শোনা যায় উন্নয়নের রুপকার, সমাজসেবক, জনদরদী, গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের বন্ধু অমুক ভাই-তমুক ভাইকে আপনার মূল্যবান ভোট দিন, জয়ের মালা তারই হউক। নির্বচন আসলেই ভোটারদের ঘুম ভাঙ্গে তাদের প্রচারণার মাইকের শব্দে। সেই সময় তারা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নির্বাচন করে। কিন্তু ভোটে হারের পর তাদের কারোরই দেখা মেলেনা। আসলে কি তারা প্রকৃত অর্থে সমাজসেবক? নাকি লোক দেখানোর নির্বাচন করেন! তারা যদি প্রকৃত অর্থে সমাজসেবক হয়েই থাকেন তাহলে এ ৬ জন প্রার্থীরা আজ কোথায়? জনগণের সেবায় যদি তারা না আসে তারা কিসের জনদরদী। আমরা তাদের বলব আপনাদের কষ্ট করে ভোট চাইতে হবেনা আপনাদের নিজ অর্থায়নে জনদুর্ভোগ থেকে আমাদের রক্ষ করুন। ভোট আপনি আপনি আসবে।
গত নির্বাচনে এ ছয় জন প্রার্থীরা হলো, ঝুড়ি প্রতীকের শাকিল, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে মকসুদুর রহমান জাভেদ, টিফিন বাটি প্রতীকের এম.এইচ মামুন, ঠেলা গাড়ি প্রতীকে কবির হোসাইন, ঘুড়ি প্রতীকে কামরুল হাসান মুন্না, লাটিম প্রতীকে খলিলুর রহমান।