নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, “প্রবলেম টাকার, আপনার আমার না শেখ হাসিনার। আমরা তো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলেছি। এখন রাজনীতিতে নাটকবাজ আর তেলবাজ বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনা আমার মায়ের মত, বললাম আমাকে ছেড়েদেন। ২৫ রকমের ভাতা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগ যারা করে সবাই ভালো না। মুক্তিযুদ্ধেরর পরে যারা লুটপাট করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা না, তারা রাজাকারদের মতন। আপনি কি সিরিয়া আফগানিস্থানের মত হতে চান। আমাদের মাটির নিচে যে গ্যাস আছে বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় এসেই তিনি প্রথম বলেছিলেন৷ মুক্তিযুদ্ধের পর এদেশ ধ্বংসস্তূপ ছিল। পাকিস্তানিরা দেশ থেকে যাওয়ার সময় আমাদের মেধাবীদেরকে হত্যা করে দিয়ে গেছে। আমার কারনে যেন শেখ হাসিনা বঞ্চিত না হয়।”
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে জাতীয় শ্রমিক লীগ এর ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শামীম ওসমান৷
তিনি আরোও বলেন, “আগামী দিনে রাজনীতিতে থাকবোনা। ষড়যন্ত্র হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে, সাংবাদিক ভায়েরা আপনারা ইউজ হচ্ছেন! যতটুকু জানি আপনারা ব্যবহৃত হচ্ছেন। তবে আপনারা জেনে রাখেন নারায়ণগঞ্জ কে আপনারা অস্থিতিশীল কইরেন না। আপনারা ক্ষমতায় এসে আমার বাড়িতে আগুন দিয়েছেন। অনেককে মেরেছেন! আমরা ১৪ বছরে কোথাও বিএনপিকে থাপ্পড় দেই নাই। যে ভূল বিএনপি করেছে সেই ভূল আমরা করিনাই। নারায়ণগঞ্জে কিছু খুন খারাপি এসে গেছে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, “বয়সে আমার অনেক বড় আমার শ্বাশরীর বন্ধু । ৭৮/৭৯ বয়স তার, এই বুড়া বয়সে এসে আরেকটা বিয়ে করেছেন। এই বয়সে প্রেম করে ধরা খেয়ে ২৩ বছরের আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আগেরতো দুইটা আছেই। যাক এটা তার পারিবারিক বিষয়। তার বউয়ের নামও বলতে পারবো আমি। ভাববেন না যে আমরা জানিনা, আমরা প্রতিহিংসা চাইনা। এখানে মেডিকেল কলেজ, শেখ কামাল ইনস্টিটিউট, রাস্তাঘাট, ২৬শ কোটি টাকার ফ্লাইওভার করছি। আসার সময় এসেছি কেঁদে, যাওয়ার সময় ওনি যদি ভালো মানুষ হয় তাহলে সবাইকে কাঁদিয়ে যাবে৷ নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লীতে সাড়ে ১১ হাজার মেয়ে ছিল ১১ বছরের নিচে। তাদের পূর্ণবাসন করেছি। আমি ও পুলিশ একা মাদক বন্ধ করতে পারবো না। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে অথচ মাদকে ডিলার।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, জেলা যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব কামাল হোসেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।