হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, সেখানে মাওলানা আব্দুল আওয়াল বলেন, মুসলমানদের পক্ষে কথা বলতে হবে। নয়ত কেয়ামতের ময়দানে নবীর কাতারে তোমার নাম থাকবে না। তুমি বারবার বলেছ মদিনা সনদের চলবে। সারা বিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত হলে তাদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে, নইলে কেয়ামতের ময়দানে তুমি আমার উম্মত হতে পারবে না এটা নবী বলেছেন। কেয়ামতের ময়দানে অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের কাছে যেতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলমানদের পক্ষে কাজ করতে ব্যার্থ হলে মুসলমানেরাই তোমাকে গদি থেকে টেনে নামিয়ে দেবে। আগামীকাল বায়তুল মোকাররম থেকে সংহতি মিছিল হবে। ইসলামের জন্য কথা বলতে গিয়ে এই নেতারা কারানির্যাতিত হয়েছেন। জেলখানায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চলছে সেটি মামুনুল হককে দেখলেই আমরা বুঝতে পারি। আলেমদের নির্যাতন করে কেউ টিকতে পারেনি। আমি আবেদন জানাবো, তাদের সবাইকে মুক্তি দিন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর শহরের ডিআইটি মসজিদের সামনে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। পরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে তেমন কিছু করার নেই। ইসরায়েলকে মদদ দিচ্ছে আমেরিকা। আমাদের দেশের সরকার চায় আমেরিকার সমর্থন। সে কী করে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলবে? স্বাভাবিকভাবেই তাদের মনে প্রশ্ন ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলে যদি দাদা নারাজ হয়ে যায়।
মহানগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি ও হেফাজত ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আহম্মদ উল্লাহ সঞ্চলনায় আরোও বক্তব্য রাখেন, মহানগর উলামা পরিষদের সহ- সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনউর রশিদ, মাওলানা আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, ফাতিহ মো.সোলাইমান, হেফাজত ইসলামের সদস্য মাওলানা আব্দুর রশিদ, মুফতি রশিদ আহম্মদ, মুফতি সিব্বির আহম্মেদ, মাওলানা আলী হোসাইন, মুফতি দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।