নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে পড়েছে চাঁদাবাজরা। তাদের কাছে জিম্মি ভুলতা গাউছিয়ার ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। অসহায় হয়ে পড়েছে এখানকার ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছ থেকে ছাড় পাননা স্থানীয় কৃষকও ।
স্থানীয় কৃষক বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে বাজারে সবজি নিয়ে আসলে গুনতে হয় ২ থেকে ৩শ টাকা। এ চাঁদা না দিলেই অত্যাচারে শিকার হচ্ছে অনেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সহস্রাধিক দোকান পাট। এখানে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধকোটি চাঁদা আদায় হয়।
এ চাঁদার টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঘটে সংঘর্ষ। বিগত ৪-৫ বছর পূর্বে ফুটপাতের চাঁদার টাকা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা পলিথিন জাকির নামে এক জন খুন হয়।
এদিকে চাঁদার টাকা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর ছাত্রলীগকর্মী ইমন ওরফে ইমু বাহিনী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল সিকদারের লোকজন রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল সিকদারের অনুসারী সুমন মিয়া নামক এক ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে ফয়সাল সিকদারের পক্ষে ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। এ ঘটনায় ৮-১০ জন পথচারী আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় সুমন মিয়া বাদী হয়ে ভুলতা ইউনিয়ন পাচাইখা এলাকার মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইমন ওরফে ইমু, মৃত কবিরের ছেলে রাশেদ আবিদ এর ছেলে নাইম, ডহরগাও এলাকার আসাদের ছেলে রিয়াদ, মিয়াবাড়ী এলাকার খলিল মুক্তারের ছেলে ফাহিম, ভায়েলা এলাকার মতিন এর ছেলে আশিক এছাড়াও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সুমন মিয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।