আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মির্জা আজম বলেছেন, কাঁচপুরে যে জনসভাটি হল আমি সেখানে সোনারগাঁয়ের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। সেখানে আমি দেখেছি, আওয়ামী লীগ করে গত পনেরো বছরে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছেন। আগে যে বাইসাইকেলে চড়ত সে এখন মোটরসাইকেল চালায়, যার মোটরসাইকেল ছিল সে প্রাইভেট কার চালায়। সবার বাড়িতেই বিল্ডিং।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের সার্কিট হাউজে আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগ করে তাদের মনমানসিকতায়ও আমি পরিবর্তন দেখেছি। সমাবেশ সফল করতে অনেকেই বায়না ধরে। সেটা নেয়ার জন্য না দেয়ার জন্য। যে সমাবেশের এই কাজটা আমি করে দিতে চাই। এটা বাংলাদেশের অন্য কোন জেলায় দেখা যায় না। আপনারা নিজেদের উপার্জিত অর্থের একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।
ঢাকার সবচেয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। আগামী ২৮ তারিখ আমাদের সমাবেশ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট। ফ্লাইওভার থেকে তিন মিনিটে যাওয়া যায়। শাপলা চত্বরও কাছাকাছি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ঢাকার সবচেয়ে আছে। আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের সমাবেশে সবচেয়ে বড় সাপোর্ট যাবে।
তিনি বলেন, বর্ধিত সভায় অনেক আলোচনা হতে পারে। আমরা সেগুলোতে আজ যাবো না। নিজেদের মধ্যে অনেক কথা থাকতে পারে। সেকথা আজ আমরা শুনতে বলতে চাই না। আগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চাই। নির্বাচন করে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে নিজেদের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো আলোচনা করবো।
ওরা এখন দিন তারিখ ঠিক করে দিচ্ছে যে তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। তাহলে আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা কী এখানে বসে থাকবো।
আমরা বলেছিলাম ৪ তারিখ সমাবেশ করবো। সেটা হবে। কিন্তু তার আগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা অবরোধের সেদিন আমরাও ঢাকা দখলে রাখবো।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে আমি সাতচল্লিশ মিনিটে এসেছি। আমার বাসা থেকে আজিমপুর যতক্ষণে যাই তার চেয়ে কম সময়ে আমি নারায়ণগঞ্জ এসেছি। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা ও সংসদ সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন।