নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা টার্গেট না, টার্গেট শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাকে টলাতে পারছে না কারণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার একটা তফাৎ আছে। বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিশ্বাস করতেন জীবন দিয়ে তাকে তার মূল্য দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিশ্বাস করেন না। দেশে এখনও জামায়াতে ইসলামী কথা বলে বিএনপির কারণে। লন্ডনে যে খুনি বসে আছে তাকে জামায়াতে ইসলামী পরিচালনা করছে। কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ফেল করবে। ওরা চায় দেশে একটা অরাজকতা হোক। এর পেছনে পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাষ্ট্র কাজ করছে। ওরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এসব করছে না। এটা করছে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে। আমাদের জিডিপি এখন চায়নার ওপরে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তিনি বলেন, আগামী ৪ তারিখ দেশের মানুষ জাতির পিতার কন্যাকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটা যখন শাপলা চত্বরে হবে আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা যেভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন, তেমন ভাবেই রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ একাই যথেষ্ট। ৪ নভেম্বর দেশের সব জায়গা থেকে যত মানুষ আসবে, তার চেয়ে বেশি মানুষ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ৫টি উপজেলা থেকে আমরা যাবো। আর এর জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো।
পরিশেষে তিনি ছাত্রলীগ -যবলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কি হাতে নেওয়া যায়! না কি বুকে নিতে হয়। ৩ হাত কাচা লাঠি নিয়ে সকলে পস্তুত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ভুল-ত্রুটি সবার আছে, আসেন আগামী ২টা মাস আমরা সবাই এক থাকি। আমরা যদি এক থাকি পৃথিবীর কোন বড় শক্তি, বাইরে থেকে আইসাও আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। আজকে থেকে কেউ কাউকে কটাক্ষ কইরেন না। ওমুক ভালো, ওমুক খারাপ; দরকার নাই। যার মুখে বঙ্গবন্ধু আছে, জয় বাংলা আছে আমরা সবাই একটা পরিবার; শেখ হাসিনা হচ্ছে আমাদের অভিভাবক।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।