নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এ অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (২৫ অক্টোবর) ৫ জনকে এবং মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ২২ জনকে আটকের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে আটকরা হলেন- ফতুল্লা থানার কাশীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুব রহমান, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি কর্মী জাকির হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আনসার আলী মিয়া, রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ মোমেন, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রূপগঞ্জ থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক আমির হোসেন, ভুলতা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ফতুল্লা থানার কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিম সিকদার, আড়াইহাজার থানা যুবদল কর্মী মোঃ আলামিন মিয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, রূপগঞ্জের চনপাড়া ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সক্রিয় কর্মী মোঃ আলামিন, চনপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহিনের বাবা (রাতে তার বাসায় পুলিশ মাহিনকে না পেয়ে তার বাবাকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ), সোনারগাঁ জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ মেম্বার, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাসেম, বারদী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ শামীম মিয়া, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ আবুল হোসেন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ নবী হোসেন, রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা যুবদল নেতা মোক্তার হোসেন, কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা সোলাইমান মিয়া, রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের কর্মী মোঃ সাজোয়ার, চনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হানিফ, চনপাড়া ৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুলহাস, সিএনজি চালক নুরুল হক (সাধারণ চালক), ফতুল্লা থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা এনায়েত বিন আমান, শহিদুল ইসলাম, আবু জোবায়ের আরিয়ান, ছালাউদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক স্বাস্হ্য বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, বিএনপি নেতা আরিফ প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা মনোয়ার হোসেন শোখন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমাদের ৩১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে গতকাল রাতে। এর মধ্যে একজন সিএনজি চালক রয়েছেন যিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত নন। বাকিরা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। এর আগেও দুদিনে আমাদের ২৭ জনকে আটক করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। কোন অপরাধ ছাড়াই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ধরপাকড়। তবে এতে জনস্রোত ঠেকানো যাবেনা।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কেউ গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। জেলা পুলিশের শীর্ষ দায়িত্বশীলদেরকেও মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা বলে এর আগে জানানো হয়।