নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর সোনাপুর বালুর মাঠ এলাকায় কান্না করায় আয়েশা সিদ্দিকা নামের দুই মাসের কন্যা সন্তানকে মাদকাসক্ত বাবা মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে নিহতের মা নাদিয়া আক্তার বাদি হয়ে পাষন্ড বাবা হৃদয় মিয়াকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই শিশু সন্তানকে মুখ চেপে শ্বাস রোধে হত্যা করে তার বাবা। ঘটনার পর পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ওই শিশুর লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হন্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহতের মা নাদিয়া আক্তার জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কাঁচপুর সোনাপুর বালুর মাঠ এলাকার জসীমউদ্দিনের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। এক সময় তারা গার্মেন্ট কর্মী ছিলেন। সিনহা গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কাজ করে তাদের সংসার চলে। তার স্বামী হৃদয় মিয়া গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। গত বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ের খাবার নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তার দুই মাস বয়সী মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে সকালে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে পাশের বাড়িতে দুধ আনতে যান। ঘুম থেকে জেগে তার মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা কান্না করায় পাষন্ড বাবা মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর পাশের বাড়িতে গিয়ে মা নাদিয়াকেও কন্যা শিশু কান্না করায় মারধর করে পালিয়ে যায়। শিশুর মা নাদিয়া ঘরে গিয়ে শিশুর পাশে বসে তার মুখে রক্তের ছাপ দেখতে পেয়ে ওই শিশু সন্তানকে ডেকে সাড়া না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।ঘটনার পর থেকে ঘাতক হৃদয় পলাতক রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সেকেন্ড অফিসার পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, শিশু সন্তান হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।