নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপি যেভাবে পুলিশকে কুপিয়ে মেরেছে এটার বিচার আপনারাই করবেন। প্রধান বিচারপতির ওপর হামলা মানে রাষ্ট্রের ওপর হামলা। পুলিশকে কুপিয়ে মারা মানে আইনকে কুপিয়ে মারা। ওরা তো কিছু বাদ রাখেনি। সাংবাদিকদেরও পিটিয়েছে। পুলিশের লোকটার মৃত্যু কনফার্ম করার জন্য তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হল। এগুলো কল্পনার অতীত। একটা ধাক্কা লেগে গেছে, ওরা আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। ওরা নাকে খত দিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনে আসবে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মহানগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ারের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক কথা বলি। অনেকে হয়ত মনে কষ্ট পায়। রাজনীতি করতে গেলে এটা করতে হয়। যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমাদের গোলাম সারোয়ার সম্পর্কে অনেকে হয়ত জানেন না। ওদের যে ব্যাচটা যদিও বয়সে আমাদের চেয়ে খুব ছোট ছিল না। তবে ওরা আমার সন্তানের মত ছিল। আজ সারোয়ারের মৃত্যুবার্ষিকী। সবসময় ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিল সে। ওর রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু না হলে ও হয়ত রাজনীতিতে আসত না আমরাও আসতাম না।
রাজনীতি করতে গিয়ে সারোয়ার, মাকসুদ, লাল ওরা যে সেক্রিফাইজ করেছে এতটা কেউ করেছে বলে মনে হয় না। ওদের কাছে পদ বড় ছিল না। ওদের চাওয়া ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার জাতির পিতার কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাওয়া। ওরা আমাদের কাছ থেকে কখনও নিত না।
১৯৯৫ সালে আমি হীরা মহলে বসা। এখানে এক ওসি তার চাকরি চলে যাবার অবস্থা, কেন? কারণ আমাদের এরেস্ট করতে হবে। সারেয়ার, মাকসুদ, লাল, নিয়াজুল ওদের মধ্য থেকে একজনকে ধরতে হবে। তখন ওদের মধ্যে তর্ক কে এরেস্ট হবে। পরে ওরা টস করে টসে যে জিতে সে এরেস্ট হয়ে থানায় যায়।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে আল্লাহ ওদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছে। আমি দেখেছি ওরা মানুষের জন্য কতটা কষ্ট করত।
নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিএনপি সাথে সংলাপ আহ্বান করা হবে কিনা এবং জামায়তের ডাকা অবরোধে অবস্থান কর্মসূচি থাকবে কিনা- এ প্রশ্নের উক্তরে তিনি বলেছেন আমি জাতীয় নেতা নই। আমি সাধারণ একজন এমপি এবিষয়ে জাতীয় নেতারা বলতে পারবেন। আমরা কোন অবস্থন কর্মসূচী দেব না।
এছাড়া আআরোও উপস্থিত ছিলেন,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, গোলাম সারোয়ার এর ছোট ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু,মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আব্দুল কাদির সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।