জুম্মন সোহেল : বিএনপি-জামায়াতের অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে ২নং গেইটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সামনে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুল হাই বলেন, “বিএনপি জামায়াত নৈরাজ্য করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আবারও আমরা ৪র্থ বারের মতন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করব। বিএনপিকে অফিসিয়াল ভাবে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই। আমরা তাদেরকে সব সময় স্বাগতম জানাচ্ছি জানাচ্ছি নির্বাচনে আসার। আমাদের দলসহ সিইসি নিশ্চয়তা দিচ্ছি সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে করার।”
জাতীয় কমিটির সদস্য এডঃ আনিসুর রহমান দিপু বলেন, “আমি কোন হরতাল অবরোধ দেখছি না। স্বাভাবিক নিয়মে যানবাহন চলছে বরং এখানে আমি যানজট দেখতে পারছি। অবরোধকে সাধারণ মানুষ ঘৃণা ভরে দেখছে। তাদের পদযাত্রা, অনশন, সভা-সমাবেশ, মিছিল করেছে তখনতো আমরা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়নি। বিশেষ প্রাণীর লেজ ১২ বছরে যদি বাঁশের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয় তাহলেও সোজা হবে না। তারা পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে মেরেছে। তারা এত ছ্যাঁচছোড় পুলিশকে মারার পড়েও টাকা পয়সা নিয়ে গেছে।”
তিনি আরোও বলেন, “মহামান্য বেঞ্চে এক বিচারপতি বলেছেন, বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা মানে বিচার বিভাগের হৃদপিন্ডে হামলা করা। বিএনপির চরিত্র হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। আমাদের সংবিধানের অভিভাবক সুপ্রিম কোর্ট বা বিচারপতি। তার মানে হচ্ছে তারা সংবিধান, বিচার, বিভাগ ও আইন কে বিশ্বাশ করেন না। এটা প্রমাণিত যে বিএনপি সন্ত্রাসী দল। সঠিক সময়ে দেশে নির্বাচন হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সে নির্বাচনে যারা পাশ করবে সেই সরকার গঠন করবে।”
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল। বিএনপি নৈরাজ্যের করছে, তারা জন্মলগ্ন থেকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ তার প্রতিবাদে অবস্থান করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ বিএনপির নৈরাজ্যকে প্রত্যাখান করেছে। পুলিশ মেরেছে, সাংবাদিকের উপর হামলা এবং বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে আগুন সন্ত্রাস করেছে । আমি মনেকরি বিএনপি কোন রাজনৈতিক দল না। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন বলেছে এদেশ ভারত হয়ে যাবে। ঢাকা হবে দিল্লি। নোয়াখালি পর্যন্ত এসেগেছে ইন্ডিয়া৷ খুনির পুত্র খুনি বলেছে টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। এদেশের মানুষ টেইক ব্যাগ বাংলাদেশ চায় না। জনগণের জানমালের রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুল হাই, জাতীয় কমিটির সদস্য এডঃ আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, হাজী আমজাদ হোসেন, সোনারগাঁ সাবেক সংসদ পুত্র এরফান হোসেন দীপ, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্বা নাজির উদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুল মতিন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাস্টার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জামির হোসেন রনি, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী রবি আহম্মেদ, আক্তার সুকুম, মোক্তার হোসেন, সম্রাট শাজাহান প্রমুখ।