বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ও তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে শহরে ২ নম্বর গেইটস্থ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয় জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
অতিথির বক্তব্যে আয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, আমরা দেখতে পারছি যানজট লেগে আছে। ট্রাফিক ভাইয়েরা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অস্থির হয়ে যাচ্ছে যানজট মুক্ত করার জন্য। আর ওনারা বলেন অবরোধ -হরতাল। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই নির্বাচন সবাইকে সাথে নিয়ে করতে চায়। তাই বিএনপিকে বারবার আসির আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে একটি কথা কি চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। এই বিএনপি চিহ্নিত চোরের দল। যারা এতিমের টাকা চুরি করে। নাইকোর প্রকল্পের অনুসংখ্যা চোরেরা কখনই ভালো কথা সুনতে চায় না।
তিনি আরোও বলেন, আমাদের নেত্রী ১৫ বছরের দেশকে কি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। মাতারবাড়ী প্রকল্প, রূপপুর প্রকল্প,চিটাগাং বঙ্গবন্ধু টানেল এরকম শত শত প্রকল্প দিয়ে দেশের উন্নতি করা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ কখনোও চিন্তা করতে পারেন নাই। অধিক মূল্যে জিনিসপত্র ক্রয় করার কোন দেশ সাহস পায় নাই এক মাত্র শেখ হাসিনা করেছে। আমরা বুক ফুলিয়ে জনগণের কাছে যেতে পারি ভোট চাইতে পারি। আর বিএনপির হাত রক্তাক্ত আগুন, সন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মেররেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্ঠা করেছিল। তারা এ দেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র দেশ করতে চেয়েছিল। মহাদেশে এসে একজন সাংবাদিক বলেছিল সেকেন্ড বিন লাদেন! তারেক জিয়াকে বলেছিল সেকেন্ড বিন লাদেন। সে জঙ্গীদের নেতা।
এ্যড.দীপু আরোও বলেন, জনগণ তাদেরকে ঘৃণা করে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কোন ভদ্রলোক বিএনপি করতে পারে না। তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপিকে লাথি মেড়ে চলে আসছেন। মেজর অবসরপ্রাপ্ত আখতারুজ্জামান বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন তারে জিয়ার মতন একজন বেয়াদবের সাথে আমরা রাজনীতি করতে পারি না। ফখরুল সাহেবের একজন এমপি তার নেতৃত্বে ২১৫ জন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন করবে। যেকোনো নৈরাজ্য আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্বে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাই। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ টি আসনে নৌকা চাই । আমরা অন্যকোন মার্কায় ভোট দিতে চাইনা। সিটি নির্বাচনেও নিজের খাইয়া নৌকায় ভোট দিসে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সহিদ উল্লাহ, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির, আরজু ভূঁইয়া, সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা নাজির উদ্দিন আগম্মেদ, বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, শোনারগাঁ উপজেলা সহ-সভাপতি মমতাজজ মুরতুজা আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী জামির হোসেন রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী কায়কোবাদ রুবেল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপাপ্ত সভাপতি আজিজ মাস্টার, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সফিউল বাসার বাবু, সেক্রেটারী পদপ্রার্থী রবি আহম্মেদ সহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দগণ।