নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়নের জামায়াত নেতা নূরুল ইসলামকে ডিবি কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে ছাড়িয়ে আনতে বিশ হাজার টাকার প্রলোভনে অস্বীকৃতি জানালে আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন রওশন মেম্বার।
একটি সূত্রে জানাযায়, বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম জামায়াতের নেতা নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
সূত্রে আরোও জানা যায়, জামায়াতের নেতা নূরুল ইসলামকে ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে নিতে আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রওশন মেম্বার ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবির কার্যালয়ে। এতে লোকজন জানাজানি হলে ভেস্তে যায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের তদবির ও সুপারিশ। গত বছর আলীরটেক ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেছিলেন নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতীকে নির্বাচন না করে অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে বেশি ভোট পেতেন। নৌকার চেয়ারম্যান’র এহেন বক্তব্যে ঐ ইউনিয়ন ও জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ’র মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে জাকির চেয়ারম্যান’কে নিয়ে। প্রতীক বরাদ্দের সেই সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় শিরোনামে আসেন জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক বর্তমানের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন।
আলীরটেক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রওশন আলী একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেককে হুমকীর বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমাকে বিকাল পৌনে পাঁচটায় আলীরটেক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রওশন আলী মেম্বার আমার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে কল দিয়ে বলেন, আপনি কই? জবাবে ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ মালেক বলেন একটা কাজে মুন্সিগঞ্জ যাচ্ছি। রওশন বলেন সেখানে গেলেকি টাকা দিবে! উঃ- না। তাহলে আপনি ডিভি অফিসে এসে বলবেন নূরুল ইসলাম জামায়াতে জড়িত ছিল না। সে আমার সাথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ করে! আপনি এটুকুই বলবেন বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা পাইবেন তাড়াতাড়ি আসেন। উঃ আব্দুল মালেক বলেন আমি দীর্ঘকাল ধরে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত রয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি কি করে একজন জামায়াত নেতাকে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসব এটা সম্বব নয়। এর প্রতি উত্তরে রওশন মেম্বার আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি আমার জেলা, থানা আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে অবগত করেছি।
আব্দুল মালেক সহ ঐ এলাকার স্থানীয়রা আরোও জানান, যেখানে দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছিল নূরুল ইসলাম। তাকে ছাড়িয়ে আনতে সেখানে রওশন মেম্বার একজন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকে হুমকী দেয় কি করে! আমরা আগেও বলেছি জাকির চেয়ারম্যান তিনি নিজেই জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক। তাকে নৌকা প্রতিক না দেওয়ার প্রতিবাদ আমরাই করেছি। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে যারা বক্তব্য দিতে পারে তারা কতটুকু আওয়ামী লীগ সরকারকে ভালোবাসেন তারই প্রমান দেখছেন দেশবাসী।
জামায়াত নেতা নূরুল ইসলামকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে রওশন মেম্বার বলেন, আমি আঃ মালেক কে সভাপতি বানিয়েছি! সে আওয়ামীলীগ বিরোধী কাজ আজ করেছে। নূরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ করে। আমরা কোন বিএনপি জামায়াত’র পক্ষে কাজ করি না।
এবিষয়ে একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে এ ছবিতে যারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগই জামায়াত ও বিএনপির লোক৷