বিএনপির ডাকা ৬ষ্ঠ দফায় অবরোধ সমর্থনে ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ, তফসিল বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১দফা আদায়ের আন্দোলনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বৃহস্পিবার ( ২৩ নভেম্বর ) সকাল ৮ টায় মহানগর আওতাধীন বন্দর ২৩ নং ওয়ার্ড জাকির শাহ আস্তানা এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সাথে পিকেটিংএর সময় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলে আহ্বায়ক সদস্য সাইফুল ইসলাম নামে এক নেতাকে গ্রেপফতার করেন বন্দর থানা পুলিশ। এবিষটি নিশ্চিত করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু তিনি আরোও জানান, বিএনপির ১ দফা আন্দোলন অংশ হিসেবে সকাল আটটায় আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে বন্দর রেললাইন এর দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে আমাদের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এক পর্যায় পুলিশের সাথে আমাদে নেতৃবৃন্দদের পিকেটিং এর পর্যায় চলে যায়। এক সময় আমাদের সংগঠনে সাইফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা এ অবৈধ সরকারের রাষ্ট্রিয় যন্ত্রের স্বৈরাচারীতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরোও বলেন, আজকে আমরা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে অবিলম্বে সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। নয়তবা বিএনপির ১ দফা আন্দোলন লাগাতার চলবে।
নেতৃবৃন্দরা জানান, বিএনপির আন্দোলনের ঘোষনার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওতাধীন সকল জায়গায় লাগাতার কর্মসূচীতে একমাত্র মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল এর আহ্বায়ক কমিটিকেই দেখা যায় বাকীরা মামলার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। যারা আত্মগোপনে রয়েছে মূলত তারাই বিএনপি ও দেশের মানুষ কে ভালোবাসেন না। অথচ দলের মধ্যে পদ-পদবীর জন্য তারা হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকতে দেখা যায়।
এ সময় মিছিলের নেতৃবৃন্দরা স্লোগান ধরেন অবরোধ চলছে চলবে। গাড়ির চাকা ঘুরবে না। দোকানপাট চলবে না। অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক একশন। একী সময় আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি তোলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃবৃন্দদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল’র আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন মির্জা জনি, যুগ্ম আহবায়ক হামিদুর রহমান সুমন, দুলাল হোসেন, শাহিন আহম্মেদ, মাহাদী হাসান মিঠু, রাকিব আহমেদ ডালিম প্রধান, রেজাউল করিম, শাকিল আহমেদ, আক্তার হোসেন, রাইয়ান হক, দপ্তর আমান শিকদার, সহ-দপ্তর হাসানুজ্জামান লিমন। আহ্বায়ক সদস্যরা হলেন শরিফুল রহমান, জাকির হোসেন জুয়েল, সাইফুল ইসলাম, মুনতাছির রহমান স্বজন, রাজা মিয়া, রুহুল আমিন আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান রানা, উজ্জল হোসেন, আক্তার হোসেন টুটুল, মিজানুর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, আরমান সরদার, আনিছুল হক বাবু, গোলাম মোস্তফা, মনির হোসেন, রুবেল হোসেন, মাহবুব হোসেন, বাধন মজুমদার, মাহাবুবুর রহমান, জামাল হোসেন, মানিক মন্ডল, বোরহান ঢালী, লুৎফুর রহমান লিটন, ইসমাইল খান, আলমগীর, জুবায়ের আহমেদ রোহান, আকিব কাউসার, মনির হোসেন, আনোয়ার, হোসেন আনু, শাহাবুদ্দিন, রোমান ইসলাম, আফসার কাজীসহ সদর উপজেলা- থানা, বন্দর উপজেলা-থানা, নাসিক ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দগণ।