বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার শহর কমিটির নবম সম্মেলন জাক জমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৮ নং নবাব সলিমুল্লাহ রোডস্থ জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন প্রিয়ন্তী ও তার দল, কবিতা আবৃত্তি করে ছোট্টমনি ইলমা।
সম্মেলনের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলার সাবেক সভাপতি আন্জুমান আরা আকসির, সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলার সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী এবং শহর কমিটির সভাপতি সাহানারা বেগম।
জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের পর অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহর কমিটির সভাপতি সাহানারা বেগম।
সম্মেলনের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন শহর সমাজকল্যান সম্পাদক রোজী আবেদীন, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান রওশন আরা পারুল, সাধারন সম্পাদকের রির্পোট পেশ করেন শহর কমিটি সাধারন সম্পাদক শোভা সাহা, অর্থের রির্পোট পেশ করেন শহর কমিটির অর্থ সম্পাদক বীনা দাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি ও জেলার সাবেক সভাপতিআন্জুমান আরা আকসির, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ গবেষণা-পাঠাগার সম্পাদক ও জেলার সহ-সভাপতি রীনা আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন, জেলা সংগঠন সম্পাদক প্রীতিকনা দাস। সাধারন প্রস্তাব পাঠ করেন শহর কমিটির সদস্য নীলা আহমেদ, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তরুণ সদস্য তিথি সুর্বনা।
বক্তরা বলেন- নারীর অধিকার মানবাধিকার- এই বিশ্বাস ও চেতনা উপলব্ধিতে এনে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে “বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার ৯ম সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করে স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলনমুখী গণনারী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ সংগঠনটি জন্মলগ্ন থেকে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে চলেছে।
“বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ৫ দশকের বেশী সময় ধরে দেশব্যাপী নারী ও কন্যা নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ,বন্ধে কাজ করে চলেছে। শহর সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ নির্যাতন বন্ধে সরকারকে সক্রিয় ভুমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়।দাবীসমূহ: দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চতকরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত কর, সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা কর, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন দিতে হবে, নারী ও কন্যা নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রনয়ণ ও দ্রুত বিচার করতে হবে, সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন চাই, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করতে হবে, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মূল্য কমাতে হবে, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে,শতীলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত
করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এগিয়ে চলেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
নতুন কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ গবেষণা-পাঠাগার সম্পাদক ও জেলার সহ-সভাপতি রীনা আহমেদ, শপথ বাক্য পাঠ করান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী। সাহানারা বেগমকে সভাপতি ও শোভা সাহাকে সাধারন সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় অতিথি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, জেলা , শহর ও পাড়া কমিটির সদস্যসহ দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।