নারায়ণগঞ্জ এর ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অপরপাশের গলির একটি নতুন ৫ তালা বিল্ডিংয়ের নিচে ও বিদ্যালয়ের পাশের একটি রিকশার গ্রেজে দিন রাত পাল্লা দিয়ে চলছে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ওরফে কসাই রাসেলের রমরমা মাদক ব্যবসা।
অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে মাদক কেনাবেচা। মাদক সেবনকারীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উক্ত স্থানে হেরোইন, গাজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য হাত বাড়ালেই পেয়ে যায়।
তথ্যমতে, বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মাদক ব্যবসায়ী কসাই রাসেলের মাদক বিক্রির কারনে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মাদকসেবিদের উৎপাতে ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে ভয় পায় শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সামনে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীরা তাদের নিজেদের মধ্য মাদক নিয়ে ঝামেলা তৈরি করে এতে করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে এবং ছুটি শেষে তাদের ভয়ে বের হতে হয়৷
২০২১ সালের বুধবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাটের পারুলির বাড়ির সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ মাদক ব্যবসায়ী রাসেলকে ২০০ পিছ ইয়াবা বহনকালে এবং ২০২২ সালের বুধবার (১০আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কস্থ নুর ভিলা নামক একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলা থেকে ৪০০ পিছ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ওরফে কসাই রাসেলকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
পরে মাদক ব্যবসায়ী রাসেলকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করা হলে কিছুদিন যেতে না যেতেই জামিনে বের হয়ে আবারো বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।
ভুক্তভোগী বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানায়, মাদক ব্যবসায়ী কসাই রাসেল দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে ইয়াবা, হেরোইন, গাজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিক্রি করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ও সেলসম্যানদের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলার হুমকি প্রদান করে।
এলাকাবাসী, যুবসমাজ ও সচেতন মহল বলেন, যদি দ্রুত মাদক ব্যবসায়ী কসাই রাসেলের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। তাই অতিদ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া বলেন, মাদক উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতি নেই। পুলিশ সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদক ব্যবসায়ীদের দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়ে তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।