নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি মানসিকভাবে সুস্থ নেই। ট্রেনে একটা বাচ্চার ব্যাগ পড়ে আছে। সে তার মাকে জড়িয়ে মারা গেল। এরা রাজনৈতিক দল! এগুলো দেখে আমি সুস্থ হতে পারিনি এখনও। আমারও একটা নাতি আছে। আমি মানুষকে বলতে চাই জেগে উঠুন এই নরপশুদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ নং ওর্য়াডের নির্বাচনি ৬টা প্রচারকেন্দ উঠান বৈঠনে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন আমার এলাকায় গতকাল ধ্বংসাত্মক কাজ চালানো হল। ফতুল্লায় ১৩/১৪ পয়েন্টে মশাল মিছিল করল। তারা সবাই সন্ত্রাসী। ওদের ঠেকাতে পাঁচ মিনিটও লাগবে না যদি জনগণ নির্দেশ দেয়। কিন্তু এগুলো কাদের ইন্ধনে করছে ওরা এটা আমি প্রশ্ন রাখতে চাই।
আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমি নির্বাচিত হয়ে প্রতি ওয়ার্ড থেকে সকল শ্রণী পেশার এক হাজার লোক নিয়ে কাজ শুরু করবো। শুধু আওয়ামী লীগ না, সকল শ্রেনী পেশা ও দল মতের লোক নিয়ে কাজ করবো। আমার এখন মূল টার্গেট মাদক সন্ত্রাস নির্মূল করা।
যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা এখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করে। আমি মনে করি স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদরা আজ লজ্জিত, আমিও লজ্জিত।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমি রাজনৈতিক দল ভাবতাম না। ২০১৪ সালে তারা স্কুল পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। সেসময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হলে আজ এ দিন দেখতে হত না।
শামীম ওসমান আরো বলেন, আপনি যদি মনে করেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে ফল খাওয়াবেন তাহলে ফল গাছ লাগানো উচিত। আমাকে সার দিবেন পরিচর্যা করবেন। আর আমি যদি কাটা গাছ হই তাহলে সেটাকে কেটে ফেলে দেয়া উচিত। আমি মানুষকে বলতে চাই জাগো।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন ১০নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন সভাপতিত্বে উক্ত উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মজিবুর রহমান মন্ডল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, সদস্য জালাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী আমির হোসেন, কাজী আতাউরি রহমান, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সাইদুর রহমান, গোলাম হোসেন গুলু মেম্বার, নাসিক ৪,৫ ও ৬নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, আব্দুস সামাদ মোল্লা, ইসমাইল হোসেন, মিজানুর রহমান ও সাইদুর রহমান মন্ডল প্রমূখ।