নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, ফরমালিন, রং ও জেলি যুক্ত মাছ বিক্রিয় করবনা ভেজাল মাছ খাবনা এ স্লোগানকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ ৩ নং মাছ ঘাট মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সময়বায় সমিতি লিমিটেড রেজি নং ২১৫ এর আয়োজনে নিরাপদ খাদ্য সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ( ২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩ নং মাছ ঘাট এলাকায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউ টি এ যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি সিনিয়র সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফত মোহাম্মদ রোমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, আমি সপ্তাহের প্রায় সময় এখানে এসে পরিদর্শন করে যায়। এ মাছ ঘাটে ভালো মাছ পাওয়া যায়। কখনো পচা বাঁশি মাছ কোন দোকানদারকে বিক্রি করতে দেখি নাই। আসলে এখান থেকে আমরা কিছু করতে হলে দেশের মানুষকে ভালো বাসব। আমরা যেহেতুক মানুষ তাি একটা মানুষের ক্ষতি কেনো করব। একথাটা যদি মনে করি তাহলে কোন সমস্যা হবেনা। এখানকার ব্যবসায়ীরা আইনকে শ্রদ্ধা করে বলে জাটকা মাছ রাখা হয় না। আমি আশা করি এরকম সাড়া বাংলাদেশে হওয়া উচিত।
তিনি আরোও বলেন, এতো পুরাতন মাছ ঘাট আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী ১৯৬০ থেকে এ মাছ ঘাট তৈয়রী হয়েছে। আপনাদের একটা সুখবর দেই আমাদের একটা বাউন্ডারি প্রজেক্ট চলছে উন্নত মানের জেটি তৈরি হবে।এ জেটি থেকে আপনারা মাছ উঠা নামানোর কাজ করতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করব। জেলা প্রশাসকের সাহেবের সাথে পরামর্শ করে এ খানে আপনাদের ব্যবসার ও বসবাসের জন্য ভালো কিছু করতে পারি। সেই সাথে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে নদী যেন দখল না হয়। নদী দখল হলে আমরা ভালো মাছ পাব না। সেন্টিমিটার ইলিশের জাটকা কেউ বিক্রি করবেন না নয়তবা ২ মাসের জেল হতে পারে। মা ইলিশ বিক্রি করব না। আমরা নিরাপদ মাছ বিক্রি করব।
অতিথিবৃন্দের কাছ থেছে ব্যবসায়ীদের নিরাপদে রাখার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করে সভাপতির বক্তব্যে ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, মাছ নিরাপদ রেখেছি আমরা নিরাপদে থাকতে চাই। এবং আমরাও মানুষের দৌরগড়ায় নিরাপদ মাছ পৌছায়া দিতে পারি সেইদিকে আমাদের সহযোগীতা চাইছি। আমাদের মৎস কর্মকর্তার কাছে অনেক কিছু জানার আছে শিখার আছে। তাদের পরামর্শে আমরা চলতে চাই। সারা বাংলাদেশের যা মাছ পাওয়া যায় এর ৮৫% আমাদের এ ঘাটে পাওয়া যায়। ইলিশ মাছ এ সম্পদকে দরে রাখতে হব আমাদেরই। এখান থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যবসা হয়।আমাদের একটাই দাবী ছিল ঐতিহ্যবাহী এই মাছঘাট কে সুন্দর স্থায়ী ভাবে একটা স্থাপনা যদি তৈয়রী করে দিতেন তাহলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না।
আমাদের দোকানদার ও ব্যবসায়ী ভাইয়েরা রোদ-বৃষ্টি ঝড় ও তুফানে খুব কষ্ঠোকরে মাছ বিক্রি করে তাই আপনাদের সহযোগীতা চাই।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৩ নং মাছ ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী আড়ৎদার সময়বায় সমিতি লিমিটেড সাধারণ সম্পাদক মো.ছনি।
৩ নং মাছ ঘাট মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সময়বায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো. আসাদুজ জামাান আসাদ, ৩ ও ৫ নং ঘাটের ইজারাদার মো. শিবলি মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো সহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউ টি এ এর কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, নাহিদ হোসেন, রেলওয়ে ইস্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম মুন্না প্রসুখ।
এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন, ৩ নং মাছ ঘাট ইজারাদার সাইদুর রহমান বাবু, ৩ নং মাছ ঘাট মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সময়বায় সমিতি লিমিটেড এর উপদেষ্ঠা মজিবুর রহমান, সফিউল্লাহ, হাবিবুর রহমান বাবুল, মো.সেলিম রেজা, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রশিদ, কার্যকরী সদস্য সিদ্দিকুর রহমান সুমন, আঃরব মিয়া, মো. শুক্কুর আলী, নারায়ন দাস সহ মাছ ব্যবসায়ী ও ৩ নং মাছ ঘাট মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সময়বায় সমিতি লিঃ নেতৃবৃন্দরা । সুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে ববরণ করে, পরে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।