আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর ৫ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রর্থী বীর মুক্তিযোদ্বা একে এম সেলিম ওসমান’র পক্ষে মহানগর ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আয়োজনে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ২৫ ডিসেম্বর ) বাদ মাগরিব সদর থানা সংলগ্ন প্রধান নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান এর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী একে এম সেলিম ওসমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আনোয়ার হোসেন, খোকন সাহা, চন্দন শীল, বাদল ওরা যেমন কষ্ট পেয়েছে আমি নিজেও তেমন কষ্ট পেয়েছি। কারন আমিও চেয়েছিলাম যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম সেখানে যেন সব গুলো আসনে নৌকার প্রার্থী থাকে। আমি ভেবে ছিলাম আপা হয়তো এবার আমাকে নৌকার মাঝি বানাবেন। আমার চাওয়াটাও তেমন ছিল। কিন্তু আপা শেষ মুহুর্তে আমাকে জানালেন তোমাকে লাঙ্গল নিয়েই নির্বাচনটা করতে হবে। অনেকে এই আসনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে আপা বলেছেন ঘরের ছেলে ঘরেই থাকুক।
আনোয়ার হোসেনকে আবারো নিজের রাজনৈতিক গুরু উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার হয়তো আনোয়ার ভাইয়ের রাগ ভাঙ্গবে। আমাদের সাথে কিছু ভূল বুঝাবুঝি হয়ে ছিল সেটা সমাধান হয়ে গেছে। আশা করি আগামীকাল থেকে উনি নামবেন। আমি উনাকে দূলাভাই ডাকি, আশা করি উনি আগামীকাল সমরক্ষেত্রে দূলাভাই উপস্থিত হবেন।
সকলের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন, আমি মানুষ। আমার উপর আপনাদের রাগ থাকতে পারে। যদি আমার উপর রাগ থাকে তাহলে আমাকে লাঙ্গলে ভোট দিয়েন না। অন্য জায়গায় ভোটটা দেন। তবুও আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। নির্বাচনের দিন ভোটটা দিতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটটা দিবেন। আমি জানিনা আমার সাথে কারা দাড়িয়েছে তাদেরকে কার কি মার্কা। যদি আমার উপর রাগ থাকেন তাহলে তাদেরকে ভোট টা দিয়ে দিয়েন।
মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানটি জেলা মুক্তিযুদ্ব প্রজন্ম সংসদের সভাপতি ও ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম রাসেল’র পরিচালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেলিম ওসমানএর সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত সহিদ মো.বাদল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দ শীল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সসম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ-সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার সাহা, এড. হোসনে আরা বাবলি, সদস্য ইসরাত জাহান স্মৃতি, মো. হাতেম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন মাস্টার, শ্রমিকলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্ম সংসদের সভাপতি ও ১৫ নং ওর্যর্ড আওয়ামীলীগ নেতা হামদান-উর রহমান শান্ত,১৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মো.সোহেল, আওয়ামীলীগ নেতা সঞ্জয় সাহা, সাগর দেব নাথ, পঙ্কজ সাহা, সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বাবু, মো.হানিফ, মোক্তার হোসেন, কালা খান, রিপন, ভরত সাহা, কাঞ্চন সেন, ছাত্রলীগ নেতা রায়হান ভূঁইয়া, জয় সেন সহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠান পূর্বে ১৫ নং ওয়ার্ড খেয়া ঘাট হইতে হাজারো নেতৃবৃন্দ নিয়ে আব্দুর রহিম ও এইচ এম রাসেল এর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে অংসগ্রহণ করেন। পরে ফুলদিয়ে বরণ করেন সেলিম ওসমানকে।