যারা জনপ্রতিনিধি, তারা কখনো বলতে পারবে না আমি বিএনপি করি, আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি করি। আমার সাথে কাজ করতে হলে জনগণের গোলাম হিসেবে করতে হবে। আমি সাড়ে ৯ বছর জনগণের গোলামী করেছি।তাই আমি যখন অসুস্থ তখন আমার জন্য সাধারণ মানুষ মন থেকে দোয়া করেছে, আমি আপনাদের দোয়ায় বেঁচে আছি। একটা দল বলে, ১৫ বছর না কি বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয় নাই। তবে আপনারা কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না, উন্নয়ন হয় নাই।
বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ১৬ নং ওয়ার্ডের দেওভোগে আয়োজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান।
এছাড়াও তিনি বলেন, এবার নির্বাচন করার আমার কোনও ইচ্ছা ছিলো না। আমি বার বার বলেছি, নারায়ণগঞ্জেই আওয়ামী লীগের জন্ম, নারায়ণগঞ্জের জন্য এবার নৌকা দরকার। এরপর আমার উপর হুকুম আসলো আপার। আমি বললাম, যদি হুকুমই দেন, তবে অন্তত নৌকায় উঠায়েন। উনি বললেন দেখা যাবে। এরপর আমার সিট খালি রেখে ২৯৮ সিটে নৌকা বরাদ্দ দেওয়া হলো। আপা বললেন, আমি দুঃখিত, তোমাকে আবারও লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। আমি জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করছি না কি আর জানি না। কারণ আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ – শুধু লীগ আর লীগ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজলের তত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহমুদা মালা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড ওয়াজেদ আলী খোকন, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়ার সাজনু, মো. কবির হোসেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।