দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমির এ এলাকায় জন্ম। কে বা কাহারা আমার ভাতিজার ছবি ও আমার ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমা’কে তো তলব করেছে। বর্তমানে কাউকে ভালোবাসা যাবে না। নির্বাচন কমিশনার এমন কঠর হয়েছে যা আগে কখনও দেখি নাই। আমি পাক হানাদার বাহিনীর বিরোদ্ধে যুদ্ধ করেছি। আমি একজন যুদ্ধা আবারও যুদ্ধ করতে যাচ্ছি সাত তারিখে। দেশকে দেশের মানুষকে অগ্নিসন্ত্রাসীর হাত থেকে বাচাঁতে। এ যুদ্ধের জন্য বন্দুক পিস্তল লাগবে না। আপনারা আমার সাথে আসুন সাত তারিখে ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি। ওদের বুঝিয়ে দেই আমরা তোমাদের ঘৃণা করি। সাত তারিখ অগ্নিসন্ত্রাসীর বিরোদ্ধে প্রতিবাদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় খানপুরের বেগম নাগিনা জোহা সড়কে এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান।
তিনি বলেন, আমার মা বোনেরা বলে সেলিম ওসমান তুমি গ্যাস দাও না ভোট চাও কেন। গ্যাস আমার হাতে না, এটা আল্লাহর দান। আমরা কেউ ভাবসিলাম এখান দিয়ে একটি রাস্তা হবে। এটার নাম নাগিনা জোহা সড়ক হবে। আমার এলাকায় কোন দলাদলি নেই। সবাই আমার ভালবাসার মানুষ।
আমি অন্য জায়গায় বলি আমাকে ভাল না লাগলে অন্য জায়গায় ভোট দিন। এটা আমার বাড়ি, সাত তারিখ আপনার প্রথম কাজ, সকাল সকাল লাঙ্গল মার্কায় একটি ভোট দিবেন।
আমি পরিশ্রম করেছি। আমি রাস্তার ধারে মুরগী বিক্রি করেছি, বাস চালিয়েছি। আজকের ইয়াং ছেলেরা কাজ করতে ভয় পায়। কাজ কাজই, এটা ইমানের অঙ্গ। এখনও আমি সকালে উঠে গরুর দুধ বিক্রি করি, গরু বিক্রি করি।
আপনারা আমার দাদা আমার বাবাকে চেনেন। আমার বড় ভাই ছোট ভাইকেও চেনেন। আমাকে একটু পরে চিনেছেন। আমি রাস্তার মানুষ।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন অসুস্থ তখন আমার এলাকার এমন কোন মসজিদ বাকি নেই যেখানে আমার জন্য দোয়া হয়নি। আমার কাজিম ভাই বলেন, ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমি বলি মাত্র ২০ শতাংশ হয়েছে, আরও ৮০ শতাংশ কাজ বাকি।
এনসিসি ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন টুলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহমুদা মালা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড ওয়াজেদ আলী খোকন, দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিফ হাসান মাহমুদ মানু, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়ার সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।