নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমার পেছনে লোক থাকতে হবে। আমার যদি গ্যাপ হয়ে যায়, আমি যদি ইন্তেকাল করি তাহলে তারা যেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এখন থেকেই কাজ করতে হবে ইলেকশনের মাসে না। এই যে দশ বারোজন এক সাথে গিয়ে বলবেন আমাকে নৌকা দেন, নৌকা দেন এই ভূলটা আপনারা আর কইরেন না। এখন থেকে কাজে নামেন কে নামবেন। আমি যতক্ষন বেঁচে আছি আমার সঙ্গে চলেন আমি কাজ শিখিয়ে দিবো।
বৃহস্পতিবার ২৮ডিসেম্বর রাত ৮টায় শহরের গলাচিপা রেললাইন এলাকায় ১৩নং ওয়ার্ডবাসীর সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাকে অনেকে দানবীর বলেন। আমি কেন দানবীর? আপনি কেন পারেন না? আপনার উপার্জনকে তিন ভাগ করেন। এক ভাগ দিয়ে পরিবার চালাবেন। এক ভাগ সঞ্চয় করবেন আরেক ভাগ দিয়ে ফুল কিনবেন। সেই ফুল আমি মদ খেয়ে জুয়া খেলে নষ্ট করতে পারেন। আবার অসহায় মানুষকে সহযোগীতা করতে পারনে। তাহলে আপনিও দানবীর হতে পারবেন আমি ফর্মূলা দিয়ে দিলাম।
নিজেকে সৌভাগ্যবান দাবী করে সেলিম ওসমান বলেন, গত পরশুদিন বন্দরে মিটিংয়ে হাজার হাজার বিএনপি কর্মী উপস্থিত হয়েছে এবং আমাকে কথা দিয়েছেন আগামী ৭জানুয়ারীর নির্বাচনে তারা দায়িত্ব নিবেন যাতে করে আমার আসনের নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। আগামী ৭জানুয়ারী সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটটা দিবেন। একটা ব্যালটে সিল দিলে আপনি মনে করবেন একজন রাজাকার একজন আগুন সন্ত্রাসীকে আপনি হত্যা করলেন। আজকে রেল লাইন খুলে ফেলেছে আগুন সন্ত্রাসী লোকেরা। তোদেরতো নেতাই নেই। তোদের নেতারা জেলে বসে রয়েছে। আরেক জন বিদেশে বসে দিন গুনছে মা কবে মরবে। আরে বেটা তর মা যদি মরে তদের দলইতো থাকবে না। বিদেশিদের দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে। শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। আজকে পেঁয়াজের দাম বৃদ্বি করেছে ঐ বিএনপির লোকেরা। নির্বাচন শেষ হলে তাদের ধরব।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা জাতীয় পার্টীর যুগ্ন সম্পাদক রিপন বাওয়াল, ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক হাসান, কার্যকরি সদস্য রশিদ, ইমন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম সহিদ রেজা, হারুন অর রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আবির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য ও যুবলীগ নেতা সায়েক শহিদ রেজা প্রমুখ।