নারায়ণগঞ্জ প্রেস: নারায়ণগঞ্জ শহরে ২ নম্বর গেইট
এলাকায় এক বৃদ্বার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে জেলা ট্রাফিক পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ( ১৮ জানুয়ারী ) দুপুরে ২ নম্বর গেইট
এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ ছিনতাইকারীকে আটক করে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারী বন্দর কাইক্কারটেক এলাকার
আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে ও বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার মাসুদ মিয়ার ভাড়াটিয়া লিটন( ৩৫)।
ভূক্তভোগী দেওভোগ লেকপাড় এলাকার বাসীন্দা পথচারী হাজী মাহমুদুল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, আমি পান কিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। এসময় ছিনতাইকারী কিভাবে যে আমার পকেট থেকে মোবাইল নিয়ে গেছে আমি বলতেও পারব না। পুলিশের এ ভাই দেখে ফেলাতে আজকে আমার মোবাইল উদ্ধার হয়েছে ও ছিনতাইকারীকে ধরতে পেরেছে। আমি চাই সকল ছিনতাইকারী আইনের আওতায় আসুক এবং সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করুক।
কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, ছোট পার্কের সামনে দিয়ে বয়স্ক লোকটা যাচ্ছিলেন এসময় আমি দেখতে পাই ছিনতাইকারী বয়স্ক লোকের পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে ধরতে গেলে হাত ফসকে ছুটে যায়। দৌড়ে গিয়ে পথচারীদের সহযোগীতায় ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হই। পরে আমরা সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এবং উদ্ধারকৃত মোবাইলের মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেই।
একাধীক পথচারীরা জানান, এই শহরে ছিনতাইকারীরা
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ সহ পুলিশ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা এদের কাছ থেকে কোননা কোন ভাবে ছিনতাইয়ের শিকার থেকে বাদ পড়েনি। প্রশাসন একটু তৎপরতা দেখালে এদের নির্মূল করা সম্ভব হবে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্ত অফিসার দীপক কুমার দাস বলেন, ছিনতাইকারী লিটন’কে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শহরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কাজ করছি।