গত সাত জানুয়ারী নির্বাচন পরবর্তী দেশে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সহ সকল ধর্মের মানুষের উপর নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলা বন্ধে প্রয়োজনী পদক্ষেপ ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন হিন্দু নেতৃবৃন্দ।
শনিবার ২০জানুয়ারী বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এমন দাবি করেন নেতৃবন্দ। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক পদক্ষিন করে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার বলেন, নির্বাচনের পূর্বে ও পরে নারায়ণগঞ্জে তেমন কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। এজন্য আমরা নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপিকে ধন্যবাদ এবং নির্বাচনে বিজয়ী একেএম সেলিম ওসমান, একেএম শামীম ওসমান সহ নির্বাচিত সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও কুষ্টিয়া সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আমাদের লোক মারা গেছে। আমরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান ভাগ করতে চাইনা। আমরা চাই নির্বাচনী সহিংসতায় কোন ধর্মের মানুষই যাতে আক্রান্ত না হয়। এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, সেই সাথে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সকল ধর্মের মানুষের সাথে মিলে মিশে সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে চাই এবং সরকারকেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলবন্দ নিয়ে কিছু সমস্যা আছে, শ্মশান নিয়ে কিছু সমস্যা আছে, সেখানকার লোকজন এই মানববন্ধনে এসেছে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে। আমরা এই সকল সমস্যা গুলো সমাধানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সাথে আলোচনায় বসবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহার সভাপতিত্ব এবং ারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি তিলক্তোমা দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন রুদ্র, মহানগরের সহ সভাপতি মদন মোহন দাস, উত্তম সাহা, হিমাদ্রি সাহা, রতন পোদ্দার, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত সাহা, কোষাধ্যক্ষ তপন ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, সিদ্ধিরগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সোনারগাঁও পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ ভৌমিক, বন্দর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, ফতুল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, ১৪নং ওয়ার্ড সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, অনুকূল ঠাকুর মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ, বিধু হালদার, শুভরঞ্জন আইচ, মুছাপুর ইউনিয়ন সভাপতি দিলীপ দাস, যুব ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আহবায়ক সঞ্জিত কুমার, সদস্য সচিব পলাশ চন্দ্র রায়।