জুম্মন সোহেল: প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদসদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি টিম ওয়ার্ক ছাড়া কোন সময় জিতা যায় না। যারা রাজনৈতিক বিদ আছেন কেউ নেওয়ার জন্য আসে কেউ দেওয়ার জন্য আসে এটা সবার মাথায় রাখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা ইচ্ছা করলে অফিসে এসে টাইমটা পাস করে আবার সুন্দর মত বাসায় চলে যেতে পারেন। এতো কাজ করার দরকার নাই। এক ধরনের কর্মকর্তা আছেন তার সেক্টরে যেটুকু পারেন দেশের জন্য কাজ করেন। যারা রাজনীতিবিদের মত কিছু লোক আছেন রাজনীতিকে ব্যবসায়ী হিসেবে নেন তাদের সাথে যেমন এডজাস্ট হয় না। যারারা সরকারি কর্মকর্তা আছেন আমি বিশ্বাশ করি তারা এখানে নাই। তাদের সাথে আমার এডজাস্ট হয় না। আমার মুখে কোন মধু নাই তাই কোন কিছু কেয়ার করে কথা বলি না।
তিনি আরোও বলেন, আমি এধরনে একটা মানুষ আমার সংসদে আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও উপদেষ্টা ছিলেন। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে সম্মান করি। মন্ত্রী পদমর্যাদায় ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাহেব সংসদের পারমিশন নিয়ে তার বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে তার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। তাহলে বুঝতে হবে আমার নেচারটা অন্যরকম। রাজনীতিতে সত্য কথা বলতে যদি না পারে তাহলে তার রাজনীতি করা উচিত না। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাকে এমপি সাহেব ও স্যার বলে দূরে সরাবেন না। এসময় ফতুল্লা থানার পুলেশের কর্মকর্তা ৪/৫ জন পরিবর্তন হলেও প্রশাসনিক কোন সুবিচার পাননি এক ভূক্তভুগী মহিলাকে নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এতে সমন্বয় কমিটির সভা নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা থানা ওসি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়ে ওই ভুক্তভোগী মহিলাকে উপকারের মাধ্যমে আমাদের পদযাত্রা সুরু করব বলে দুটি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে নবনির্বাচিত সাংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান তিনি আরোও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাসিক সভা প্রয়োজনে আমরা দুই বার বসব মানুষ তত বেশি আশ্বস্ত পাবে। একজন মহিলা মেম্বারের বাড়িতে চুরি হয়। যদি মেম্বারের বাড়িতে চুরি হয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। নারায়ণগঞ্জ একটা নিষিদ্ধ পল্লী ছিল কয়েক হাজার শিশুকে আমি পূর্ণবাসন করতে চেয়ে ছিলাম। উচ্ছেদ নয়। এখনকার চেয়েও তখন আমার অনেক শক্তি ছিল। আমি জিয়াউর রহমান সাহেবের রাস্তা আটকিয়ে রাখছিলাম। প্রধান মন্ত্রী আমার মায়ের মত। এমিপি হওয়ার পর আমাকে মন্ত্রী হতে বলেছিলেন আমি হই নাই। তখন তিনি বলে ছিলেন ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবে। সে দিন পৃথিবীর চারটা অ্যাম্বাসেডর এ খবর চলে গিয়েছিল আমার বিরুদ্ধে। তখন তাদের মুখোশটা উন্মোচন হয়েছে আমার কাছে। বড় বড় পত্রিকার সম্পাদকের বউ এখানে তারা এনজিও করত। ১৯৯৭ সনে পুনর্বাসনের নাম করে এখান থেকে ৩শ করে মেয়ে নিয়ে পার হেড ৫০ হাজার টাকা করে পেত। কিছুদিন অন্য কোথাও থাকত। এতে করে খরচ হত পাঁচ হাজার টাকা পরে আবার রোলিং এর মাধ্যমে এদের এখানে দিয়ে যেত। তখন বিবিসি ও সিএনএন আমাকে ছিড়েফিড়ে ফেলেছে। আমাকে এমনও অপবাদ দেওয়া হয়েছে ওখানে নাকি আমার বাচ্চা আছে।
এছাড়াও সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃফজর আলী সহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্বান্ত ও উদ্যোগ গ্রহন ও আলোচনা ছাড়াও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ও মেম্বার চেয়ারম্যানদের যৌথভাবে মিলে কাজ করার আহবান জানান শামীম ওসমান।এর আগে সদর উপজেলা চত্বরে শামীম ওসমান পৌছলে লাল গালিচা ও ফুলের শুভেচ্ছা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম।