অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত মহল্লা ভিত্তিক ঝগড়া বিবাদ সংক্রান্তে বিরোধে আরমান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সন্ত্রসী নূর হোসেন। অবশেষে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলায় নূর হোসেন গ্রেফতার।
বৃহস্পতিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি ) সদর মডেল থানা নূর হোসেন’কে বাবুরাইল থেকে গ্রেফপ্তার করা হয়। পরে থানা পুলিশ নূর হোসেন’কে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এজাহারে আরমান উল্লেখ্য করেন, নজরুল ইসলামের উভয় ছেলে নুর হোসেন (৪৭), কামাল হোসেন (৩৮), নুর হোসেনের ছেলে মাহিম আহমেদ আরিয়ান (২৫), অজ্ঞাতনামা ৫/৬ সর্ব সাং ১ নং বাবুরাইল শেষ মাথা, মুন্সিবাড়ী মসজিদ এর বিপরীত পার্শ্বে। আমার সাথে দীর্ঘদিন যাবত মহল্লা ভিত্তিক ঝগড়া বিবাদ সংক্রান্তে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। বিরোধের জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ সময় ১ নং বাবুরাইল এর শেষ মাথা বটতলা ব্রিজ এর সামনে মেইন রোডের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ১,২,৩ নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন্য বিবাদীগন বেআইনী জনতাবদ্ধে তাদের হাতে থাকা লোহার রড, কাঠের ঢাসা, চাপাতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সহ সজ্জিত হইয়া আমার পথরোধ “ও করিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গলিগালাজ করতে নিষেধ করি এবং আমার পথ ছেড়ে দিতে বলিলে বিবাদীগন আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া ১নং বিবাদীরর হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করাকালে আমি আমার দুই হাত দিয়ে বাধা দিলে উক্ত আঘাতে ডান হাতের তালু সহ দুই হাতের আঙ্গুল সমূহে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার বড় দিয়ে আমার হাতে এবং পিঠে আঘাত করিয়া নিলা ফুলা রক্ত জমাট জখম করে। আমি বিবাদীদের আঘাতে মাটিতে লুটিয় পরিয়া গেলে উক্ত ৩ /বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড, কাঠে ডাসা দিয়ে এলোপাথারিভাবে আঘাত করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা-ফুলা, রক্ত জমাট জখম করে। ৩নং বিবাদী আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৯,৫০০/-টাকা নিয়ে নেয়। আমার ডাক চিৎকারের আশ-পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগণ উক্ত বিষয় নিয়ে কোন মামলা করিলে -আমাকে গুম করিয়া মারিয়া ফেলার হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। স্থানীয় আশ-পাশের লোকজনদেন সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, ভিক্টোরিয়া যাইয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। পরে থানায় একটি মামলা দায়ের করি যার নং ১৪ / ২- ২৪।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানাযায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ শামসুর রহমান এর আদালতে আসামি নূর হোসেন’কে জামিন নামঞ্জু করে
কারাগারে প্রেরণ’র নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে স্থানীয়রা ও আরমান জানান, চলতি মাসের বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আরমান’র উপর হামলা চালায় পরবর্তিতে শুক্রবার বিকালে প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যকে নিয়ে কম্বল বিতরণ করেন। মূলত ‘নূর হোসেন’ আজমেরী ওসমানে’র মা একটি প্রভাবশালী পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় বিভিন্ন নিরিহ মানুষের মাঝে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকেন এ আইড়ল্লা নূর হোসেন। মূলত তার নাম মাত্র ব্যবসা এটাকে দেখিয়ে অত্র এলাকায় তার সন্ত্রাসী কায়দায় ত্রাস চালিয়ে প্রভাব বিস্তার করে চাঁদাবাজী করাই তার মূল উদ্দেশ্য। চলতি মাসে গত ৩ তারিখে পারভীন ওসমানকে নিয়ে নূর হোসেন যে কম্বল বিতরণ করেছে তাতে এলাকার কোন গণ্যমাণ্য ব্যক্তি রাখতেও ব্যর্থ হন নূর হোসেন। এলাকার প্রত্যেকটা মানুষকে অতিষ্ঠ হয়েছে দুর্বিষহ কার্যকলাপে। প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সুধু আরমানই নয় এরকম অনেক মা’য়ের কোল খালি হবে।
আরমান জানান, নূর হোসেন এর উগ্র কার্যকলাপ কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে পাশবিক নির্যাতন।
১৩ দিন পর গ্রেফপ্তার হলে মামলা তুলেনিতে তার বাহীনি দ্বারায় হুমকীর শিকার হচ্ছি। এতে আসামি কামাল হোসেন ও মাহিম আহম্মেদ (আরিয়ান)কে দূরুত্ব গ্রেফপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।