জুম্মন সোহেল: রাতভর ডাকাতি করা কালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা গোগনগরে মসজিদের মাইকিং করে চাকু ও ছুড়িসহ ৪ ডাকাত’কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে এলাকাবাসী। গণপিটুনি দিয়ে ৯৯৯ এ পুলিশের কাছে চার ডাকাতকে সোপর্দ করা হয়।
শুক্রবার (২২ মার্চ ) ভোর ৪টায় গোগনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে।
আটককৃত ডাকাতদের মধ্যে রয়েছে শহিদনগর এলাকার মোকলেস উদ্দিন এর ছেলে মহিউদ্দিন( ২৬ ), নয়ামাটি এলাকার নয়ন খানের ছেলে অনিক, বন্দর রাজবাড়ি এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে নয়ন(৪৫), জল্লার পাড়া শরাফত আলীর ছেলে রবিন(২১)। জনতার ধাওয়ায় খেয়ে রুহুল নামে একজন সহ অজ্ঞাত আরোও একজন পালিয়েছে।
এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহাগ এর কাছে ৪ ডাকাতকে সোপর্দ করেন।
মুন্সিগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী থানা এলাকার উজ্জ্বল সেন জানান, আমি রাতে সবজির গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম আমাকে ৬ জন আমাকে গাউছুল আজম জামেমসজিদের সামনে আটক করে সাথে টাকা না থাকায় আমাকে চর-থাপ্পর মেরে ছেরেদেয়।
আসাবুদ্দিন সবজি ব্যবসায়ী জানান, ১৫ দিন আগে ভোড় পাঁচটায় ভ্যান গাড়ি চালিয়ে আসার সময় কবস্থান এর সামনে আমাকে আটক করে। টাকা না থাকায় আমাকে চাকু দিয়ে আগাত করে।
স্থানীয়রা জানান, শহিদনগরের মোকলেস উদ্দিন এর ছেলে মহিউদ্দিন সহ তার ডাকাত বাহিনী প্রতিনিয়তই রাতভর এধরনে কাজ করে থাকে। সুধু তাই নয় সন্ধ্যায় হলে ছিনতাই পেশা, রাত হলে ডাকাতি পেশায় জড়িয়ে পরে। শহিদনগরে প্রভাবশালী ভাড়ির ভাগিনা হওয়ার সুবাদে বুক ফুলিয়ে চলে দিনভর। খবর নেন কোন এলাকায় বাড়ি নিরব। দিন দুপুরে করেন ডাকাতি। এদের বাহিনী দ্বারা বাদ যায়নিও মসজিদ। পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী মহিউদ্দের কবল থেকে বাদপরেনি এমন একজন নাই বলে মনে হয় না আছে।
আটককৃত ছেলেকে দেখতে আশা বাবা মোকলেস উদ্দিন
জনতার রোষানলে পরে এবং সংবাদ মাধ্যমকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে এসময় ডাকাত এর বাবা বলেন এছেলে আমার না। তাকে মেরে ফেলেন। আমি ওকে চিনিনা।
পরে গোগনগর ইউপি মেম্বর এসে ৪ ডাকাতকে পুলিশের এর নিকট সোপর্দ করা হয়।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার দায়িত্ব রত ডিউটি অফিসার কাজল এ প্রতিবেদকে জানান, এমন ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । পুলিশ পাহারায় তাদের চার জনকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে তৃতীয় তলায় সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাদের দ্রুত্ব আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।