জুম্মন সোহেল: নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন শহিদনগর এলাকায় বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় পিষ্ট হয়ে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাদক সেবনে আনন্দ উল্লাস করে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানিয়দের অভিযোগ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল ) দুপুরে সোয়া একটার দিকে সদর থানাধীন শহিদনগর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট সংলগ্নে বাইজদ্দিন মিয়ার বিড়ির গেইট এর সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মো.হোসাইন (১২), সে শহিদনগর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট সংলংগ্নে বাইজদ্দিন মিয়ার ভারাটিয়া ফিরুজ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানায়, শিশুটি বাড়ির সামনে একটি ‘চা’য়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ড্রাইভার সহ আরো দুই জন ছিল। তারা আনন্দ উল্লাস করে দ্রুতগতিতে অটো গাড়ি চালিয়ে আসেলে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাচ্চাটার উপর ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা উঠে পরলে । এবং পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করলে জনতা কতৃক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
দুর্ঘটনার পর শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করেন।
জনতাকতৃক আটককৃত ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালক ও সহযোগীরা হলেন শহিদনগর ২নম্বর গলির আফছার শেখ এর ছেলে মোশারফ ( ৩২), ক্লাব গল্লির ফেরুমিয়ার ছেলে রুবেল (১৮), একই এলাকার মন্নাফ ভূঁইয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ (৪০) তারা সবাই একই গ্যারাজের ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা অটো রিক্সার চালক ।
শহিদনগর এলাকার স্থানীয় যুবক ও বাইজদ্দিন মিয়া এ প্রতিবেদকে জানান,তারা প্রতিনিয়তই মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পূর্ব দিকে নির্জন জায়গায় মাদক সেবন করে। বিগত ছয় মাস পূর্বে তারা মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটায়। সে সময় তারা আমার পা ধরে মাফ চায় বলে কখনও মাদক সেবন করে আর গাড়ি চালাবেনা। এবং মাদক সেবন করবে না সর্থে চলে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।