নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের দ্বি- বাষিক সম্মেলন ও কায়নিবাহী পরিষদ নিবাচন ( ২০২৪ – ২০২৬ ইং) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১ জুন ) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পযন্ত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিঃ ক্লাব মাকেটের ৪ র্থ তলায় সভাক্ষে উৎসব মূখর আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
১ম পর্বে সকাল ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মোঃ ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে দ্বি – বাষিক সম্মেলন অনুষ্ঠত হয়। উক্ত (২০২২ – ২০২৪ ইং) অথ বছরের আয় – ব্যয় হিসাব উপস্থাপনা করা হয়।
এছাড়া নিবাচনী বিষয় সহ ক্লাবের উন্নয়ণমূলক বিষয় নিয়ে বক্তব্যে রাখেন ৩টি পদে ৬ পদ প্রাথী – সাধারন সম্পাদক পদে পদ প্রাথী মোঃ দেলোয়ার হোসেন তার বিপক্ষে প্রাথী এম. আর হায়দার রানা, যুগ্ন – সাধারন সম্পাদক পদ প্রাথী মোঃ মোক্তার হোসেন তার বিপক্ষে প্রাথী মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রাথী মোঃ নূর আলম আকন্দ তার বিপক্ষে প্রাথী জাহাঙ্গীর ডালিম। পরিশেষে নিবাচনী বিষয়ে সভাপতির ১ম পর্বের সমাপনী বক্তব্যের দিয়ে দ্বি – বাষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।
২ য় পর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের কাযনিবাহী পরিষদ নিবাচন ( ২০২৪ – ২০২৬ ইং) ৩টি পদে নিবাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নিবাচনের পরিচালনায় ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইকবাল হাবীব, সহকারী নিবাচন কমিশনার আলী হায়দার, আপিল বোডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা এডভোকেট নূরুল হুদা ও সহ – সভাপতি মোঃ কুতুবউদ্দিন আহদেদ।
নিবাচনের পর্যবেক্ষনের দায়িত্বে ছিলেন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ নুরুউদ্দিন।
বেলা ১২ টা থেকে বিকাল ৪টা পযন্ত এক টানা ভোট গ্রহন চলে ৩টি পদে ৬ পদ প্রাথীর । সাধারন সম্পাদক পদে প্রাথী মোঃ দেলোয়ার হোসেন তার বিপক্ষে প্রাথী এম. আর হায়দার রানা। যুগ্ন – সাধারন সম্পাদক পদে পদ প্রাথী মোঃ মোক্তার হোসেন তার বিপক্ষে প্রাথী মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদ প্রাথী মোঃ নূর আলম আকন্দ তার বিপক্ষে প্রাথী জাহাঙ্গীর ডালিম। ভোটাররা আনন্দ আর উৎসব মূখরের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। খুব সুন্দর ও সু-শৃংখলাভাবে ভোটের কাযক্রম শেষ হয়। বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহন শেষ হলে প্রধান নিবাচন কমিশনার ইকবাল হাবীব, সহকারী নিবাচন কমিশনার আলী হায়দার, আপিল বোডের সহ – সভাপতি মোঃ কুতুবউদ্দিন আহমেদ ৩ পদে ৬ প্রাথীকে সামনে রেখে ভোট গননার কাযক্রম শুরু করেন। সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ দেলোয়ার হোসেন ২৪ ভোট পেয়ে নিবাচিত হন এবং তার বিপক্ষে প্রাথী এম. আর হায়দার রানা ১৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়। অপরদিকে যুগ্ন – সাধারন সম্পাদক পদে প্রাথী মোঃ মোক্তার হোসেন সবোচ্চ ৩৪ ভোট পেয়ে নিবাচিত হন এবং তার বিপক্ষে প্রাথী মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া পান মাত্র ৮ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ নূর আলম আকন্দ ২১ ভোট পান তার বিপক্ষে প্রাথী জাহাঙ্গীর ডালিমও একই ভোট পান ২১ ভোট। উভয় প্রাথীর সমমান ভোট হওয়ায় প্রধান নিবাচন কমিশনার ইকবাল হাবীব উভয় প্রাথীকে সমঝোজতা হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলেন। তবে নিবাচন কমিশনার সহ সহকারী নিবাচন কমিশনার উভয় প্রাথীকে ২ টি বিষয়ে মতামত দেন। আপনারা ২ জন যুগ্ন- সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে একেই জন ১ বছর করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন নতুবা ভাগ্যে পরীক্ষা লটারী করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অবশেষে উভয় প্রাথীকে এক বছর করে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে থাকার প্রস্তাব করেন, তারা সে টা মেনে নেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৬ জন। ব্যালট পেপারে ভোট প্রদান করেছে ৪৩ জন ভোটার। ৩ জন ভোটার ছিল অনুপস্থিত। ৪৩ টি ভোটের মধ্যে একটি ব্যালট পেপারে কোন ভোটার সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ন – সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ মোক্তার হোসেন কে ভোট প্রদান করলে ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কোন ভোট প্রদান না করায় ব্যালট পেপারটি নিবাচন কমিশনারসহ আপিল বোডের সদস্যরা ভোটটি বাতিল করেন। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। পরিশেষে প্রধান নিবাচন কমিশনার ইকবাল হাবীব ও সহকারী নিবাচন কমিশনার আলী হায়দার ৩ টি পদে বিজয় প্রাথীদের নাম ঘোষনা সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের ( ২০২৪ – ২০২৬ ইং) কায নিবাহী পরিষদের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পূনাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষনা করেন।
সভাপতি পদে আলহাজ্ব কাজী মোঃ ইসলাম মিয়া, সিনিয়র সহ – সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ দীল মোহাম্মদ দীলু, সহ – সভাপতি এ.এস এম এনামূল হক প্রিন্স, সাধারন সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ন – সাধারন সম্পাদক মোঃ মোক্তার হোসেন, অথ – সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল, যুগ্ন – সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নূর আলম আকন্দ ও জাহাঙ্গীর ডালিম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফরিদা ইয়াছমিন সুমনা, প্রচার সম্পাদক হাজী মোঃ মোতালেব, দপ্তর সম্পাদক এইচ.এম. সোহেল আহমেদ, কাযকরী সদস্য – ৫ জন সেলিম খন্দকার, এ. কে.এম শফিউল আলম, শহিদুল্লাহ শিশির, এম আখতার হোসেন ও আবু রায়হান। ঘোষনার শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মোঃ ইসলাম মিয়া অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে রাখেন।