নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা শাসনগাঁও বিসিক এলাকার কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ী লালন-পালনকারী তেইল্লা সোহেল এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও রাতুল দেওয়ানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শাসনগাঁও বিসিক এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগী সোলেমান দেওয়ান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান এর প্রভাব বিস্তার করে কয় দিন পর পর এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তেইল্লা সোহেল এর ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ী বাহীনিরা। এ সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় আমরা চিকিৎসা শেষে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করতেগেলে শুনি উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এসময় থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। আমার ভাতিজার সাথে এক অফিসার চরম দূব্যবহার করে। বারবার অনুরোধ করেও ক্ষেন্ত হন নাই। থানা পুলিশ শিশু কাচ্চাটাকেও লকাবে ভরেদেওয়ার হুমকী দেয়। আমাদের জোড়ালো অনোরোধে অভিযোকটি গ্রহণ করে তারা।
তিনি আরোও কলেন অভিযোগটি গ্রহণ করে আমিনুল রহমানকে তদন্ত ভার দেওয়া হলে। আমরা আসামীকে আটক করে ফোন দিলে তারা আমাদের কথা আমলে না নিয়ে কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি ফতুল্লা থানার এসআই আমিনুর রহমান।তেইল্লা সোহেল প্রশাসনকে ব্যালেন্স করে চলার কারনেই পুলিশের দূব্যবহারের মূল কারন দেখেছি আমরা। আমরা আশংঙ্কা করছি এসআই আমিনুর রহমান সন্ত্রাসীদের সাথে আতাত করার কারনে আমরা সঠিক বিচার পাচ্ছিনা। তাই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করতে চাই আপনারা সুষ্ঠু তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
অনেক নাটকীয় তারপর আমাদের অভিযোগ গ্রহন করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন, ফতুল্লা শাসনগাঁও এলাকার রাজিব (৩০), মনির (২৮), মৃত ফজল হক এর ছেলে সোহেল(৪৪) সহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন।
অভিযোগে সোলেমান দেওয়ান উল্লেখ্য করেন, গত ১২ জুন রাত সাড়ে নয়টায় আমার ছেলে রাতুল ও ভাতিজা সোহান বাসার বাজার করারর জন্য বিশিক শাহী মসজিদ এলাকায় গেলে উল্লেখিত বিবাদীরা অহেতুক তর্কতকি শুরু করে। একপর্যায় সোহেলের হুকুমে রাজিব ও মনির সহ অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তরা হাতে থাকা লোহার রড, পাইপ সহ বিভিন্ন লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করে রাতুলের চোখের নিচ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নীলাফোলা জখম করে। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসলে ৪ জন সন্ত্রাসীকে জনতা আটক করে। এবং স্থানীলোকজন ছেলে ও ভাতিজাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহসিন দেওয়ান, হোসেন খান, আবু সুফিয়ান, জাহাঙ্গীর, মামুন, আবুল হোসেন, সোহেল খান, ফারহানা মানিক মুনা। এছাড়া শাসনগাঁও বিসিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।